নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী লক্ষ্মী। ছবি: আনন্দবাজারের আর্কাইভ থেকে
রঞ্জির গ্রুপ পর্বে ওড়িশার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল বাংলাকে। এ বারের রঞ্জিতে লক্ষ্মীরতন শুক্লের দলের জয়রথ ওই এক বারই কাদায় আটকেছিল। ইডেনের পিচে বেশি জল দেওয়া হয়েছিল। তাতেই বিপত্তি ঘটেছিল। লক্ষ্মী তাই সোমবারই ইডেনে গিয়ে পিচ দেখে আসেন। ফাইনালের পিচ নিয়ে তিনি খুশি।
বাংলা দল সোমবার বিশ্রাম নিয়েছিল। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় অনুশীলন। বুধবার সকালেও অনুশীলন করবেন লক্ষ্মীরা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু ম্যাচ। তার আগে নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী লক্ষ্মী। ইডেনের পিচ সম্পর্কে বাংলার কোচ বললেন, “পিচটা বেশ ভাল। ব্যাটারদের জন্য যেমন সুবিধা থাকবে, বোলাররাও পাবে।” গ্রুপের শেষ ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম দিনের চার ঘণ্টা নষ্ট হয়েছিল। সেখান থেকে ম্যাচটাই হেরে যায় বাংলা। পিচ নিয়ে অভিযোগ করেছিল বাংলা দল। এ বার যদিও তেমন কোনও আশঙ্কা নেই।
১৯৮৯-৯০ মরসুমে রঞ্জি জিতেছিল বাংলা। সেটাই শেষ বার। দিল্লির বিরুদ্ধে ইডেনে রঞ্জি ফাইনাল ছিল। এ বার প্রতিপক্ষ সৌরাষ্ট্র। যে দলের বিরুদ্ধে ২০১৯-২০ মরসুমে রঞ্জি ফাইনালে হেরে গিয়েছিল বাংলা। এ বার আবার রঞ্জি জয়ের সুযোগ। লক্ষ্মী বললেন, “আমরা খুব দূরের জিনিস নিয়ে ভাবছি না। অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য রঞ্জি ট্রফি জয়। কিন্তু আমরা প্রতিটা দিন ধরে ধরে এগোতে চাই। খুব ভাল অনুশীলন হয়েছে। প্রথম দিনের শুরুটা ভাল করতে চাই। সেটা গোটা ম্যাচে ধরে রাখতে হবে।”
এ বারের রঞ্জিতে বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। কোচ লক্ষ্মী বললেন, “মনোজ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমি চাই দলের ছেলেরা মাটিতে পা রেখে চলুক। আমরা এখনও লক্ষ্যে পৌঁছে যাইনি। সৌরাষ্ট্র দারুণ দল। আমরা নিজেদের সেরাটা দেব। ওদের প্রতিটা জায়গায় হারাতে চাই।” এটা মনোজের শেষ রঞ্জি। জিতে শেষ করতে চান তিনি। অভিজ্ঞ ব্যাটার বলেন, “দলের সকলে সুস্থ আছে। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ের অনুশীলন করেছি। এ বার মাঠে নেমে করে দেখানোর সময়। আমাদের পেসাররা যেমন ছন্দে রয়েছে, তেমন ব্যাটাররাও রান করছে। আমাদের রঞ্জি জেতাটাই একমাত্র লক্ষ্য। সেটা করার জন্য নিজেদের উজাড় করে দেব। সৌরাষ্ট্র ভাল দল, কিন্তু ইডেনের পিচ ওদের পরীক্ষা নেবে।”