Ranji Trophy

আঙুলে চোট নিয়েও রঞ্জির সেমিতে শতরান অনুষ্টুপের, বুড়ো ঘোড়ার ভেল্কি ইনদওরে

রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা। কিন্তু সেখান থেকে দলকে টানলেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও সুদীপ ঘরামি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৩৮
Share:

রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে শতরানের পরে নিজের চোট দেখাচ্ছেন বাংলার ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদার। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া

রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে শতরান করলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। তাঁর শতরানে ভর করে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ভাল জায়গায় বাংলা। চা বিরতির সময় ৮০ রানে ব্যাট করছিলেন অনুষ্টুপ। তৃতীয় সেশনের খেলা শুরু হওয়ার পরে শতরান করতে খুব বেশি সময় নেননি তিনি। আবেশ খানের বলে সিঙ্গল নিয়ে চলতি মরসুমের তৃতীয় শতরান করলেন বাংলার এই ৩৮ বছর বয়সি ব্যাটার।

Advertisement

শতরান করার পরে গ্লাভস খুলে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলের চোট দেখালেন অনুষ্টুপ। আগে থেকেই সেখানে ব্যান্ডেজ বেঁধে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। এই ইনিংসেও একটি বল তাঁর আঙুলে লেগেছে। মাঝেমধ্যেই মাঠে চিকিৎসক গিয়ে তাঁর আঙুলের চোট পরীক্ষা করেছেন। ম্যাজিক স্প্রে লাগিয়ে যন্ত্রণা কমাতে হয়েছে। চোট নিয়েও যে ইনিংস তিনি খেলেছেন তা আশা জোগাবে বাংলার বাকি ব্যাটারদের।

অনুষ্টুপ এমন একটা সময়ে খেলতে নেমেছিলেন যখন পর পর দু’উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলা। ফিরে গিয়েছেন এই মরসুমে বাংলার সেরা ব্যাটার অভিমন্যু ঈশ্বরণ। সাজঘরে তরুণ করণ লালও। সেই সময় সুদীপ ঘরামিকে সঙ্গে নিয়ে জুটি বাঁধেন অনুষ্টুপ। তাড়াহুড়ো করেননি তিনি। নিজেক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দলের রানকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন। বাজে বলে মেরেছেন। বাকি সময়ে খুচরো রানে ইনিংস সচল রেখেছেন।

Advertisement

ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামে তখন ভাল বল করছিলেন মধ্যপ্রদেশের বোলাররা। আর একটি উইকেট হারালে বড় চাপ পড়ে যেত বাংলার মিডল অর্ডারের উপর। সেটা হতে দিলেন না দুই ব্যাটার। অভিজ্ঞ অনুষ্টুপের সঙ্গে তরুণ সুদীপের জুটি বাংলাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করল।

কোনও তাড়াহুড়ো করলেন না তাঁরা। বল দেখে শট খেললেন। যতটা পারলেন সোজা ব্যাটে খেলার চেষ্টা করলেন। তার ফলও পেলেন দুই ব্যাটার। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরে উইকেট কিছুটা সহজ হয়ে গেল। তখন কয়েকটি বড় শট দেখা গেল বাংলার ব্যাটারদের কাছে। চার মেরে নিজের অর্ধশতরান করলেন অনুষ্টুপ। অন্য দিকে লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে অর্ধশতরান করেন সুদীপ।

চা বিরতির আগে যেখানে শেষ করেছিলেন, বিরতির পরে ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছেন দুই ব্যাটার। অনুষ্টুপ শতরানের পথে ১২টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন। শতরান করার সুযোগ রয়েছে সুদীপেরও। সকালটা যেরকম দেখাচ্ছিল, সেখান থেকে বাংলাকে অনেকটা ভাল জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন দুই ব্যাটার। তাঁদের ব্যাটে ভর করে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বড় রানের স্বপ্ন দেখছেন মনোজ তিওয়ারিরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement