কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। —ফাইল চিত্র
গত মরসুমে আইপিএলে শতরান করে নজর কেড়েছিলেন রজত পটীদার। মধ্যপ্রদেশের এই ক্রিকেটার রঞ্জিতেও রান করেন। দলকেও জেতান বেশ কিছু ম্যাচ। ভারতীয় দলেও জায়গা করে নেন তিনি। বাংলাদেশ সফরে যে এক দিনের দল খেলতে যাবে, সেই দলে ডাক পেয়েছেন পটীদার। সামনেই বিশ্বকাপ। তার আগে পটীদারের কাছে সুযোগ রয়েছে দলে জায়গা পাকা করার। সেই সফরের আগে তিনি উপদেশ নিলেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের থেকে।
বিজয় হজারে খেলতে ব্যস্ত পটীদার। এক দিনের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় যদিও এখনও সে ভাবে রান পাননি তিনি। বাংলাদেশ যাওয়ার আগে তিনি কথা বললেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ পণ্ডিতের সঙ্গে। পটীদার বলেন, “কোনও কঠিন সময় এলে আমরা স্যরের সঙ্গে কথা বলি। ওঁর কাছে সব কিছুর উত্তর পাওয়া যায়। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং— যেটা নিয়েই সমস্যা হোক, আমরা স্যরের সঙ্গে কথা বলি। অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়।”
বাংলাদেশ যাওয়ার আগে কোনও রকম চাপ নিতে রাজি নন পটীদার। তিনি বলেন, “আমি নিজের জন্য কোনও লক্ষ্য রাখিনি। নিজের খেলাটা খেলতে চাই। পরিষ্কার মাথায় খেলতে নামব ভারতের হয়ে।”
বাংলাদেশে ভারতীয় দলকে এক দিনের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবেন শিখর ধাওয়ান। এর আগে পটীদার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও এক দিনের দলে ছিলেন। সে বার প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর। ২৯ বছরের ব্যাটার বলেন, “দারুণ শেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। শিখর ভাই ছিল। (ভিভিএস) লক্ষ্মণ স্যরের থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলাম। অনেকটা সময় কাটাতে পেরেছিলাম তাঁর সঙ্গে। উনি বুঝিয়েছিলেন কী ভাবে একটা ম্যাচকে বিশ্লেষণ করতে হয়। মাঠের বাইরে থেকে কী ভাবে খেলাটা বুঝতে হবে সেটা শিখিয়েছেন উনি। সিনিয়র ক্রিকেটাররা দলে থাকলে শেখা যায় কী ভাবে ওরা ম্যাচের আগে অনুশীলন করে। কী ভাবে নিজেদের তৈরি করে।”
আইপিএলে গত বারের নিলামে কোনও দল পটীদারকে নেয়নি। পরবর্তী সময় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলে লভনিত সিসোদিয়া চোট পেলে তাঁকে দলে নেওয়া হয়। এর পরেই ইডেনে শতরান করে নজর কাড়েন পটীদার। তিনি বলেন, “আইপিএল আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এখন বর্তমান সময় নিয়ে ভাবতে হবে। আগে কী হয়েছে ভেবে লাভ নেই। আমি চেষ্টা করি পরিস্থিতি বুঝে খেলার। প্রতিটি ওভার কাজে লাগানোর চেষ্টা করি। তাতে ব্যাটারদের সুবিধা হয়।”