পঞ্জাবের বিরুদ্ধে মারমুখী যশস্বী জয়সওয়াল। ছবি: রয়টার্স।
পঞ্জাবের ঘরের মাঠে ভাল ব্যাট করল রাজস্থান রয়্যালস। ওপেন করতে নেমে অর্ধশতরান করলেন যশস্বী জয়সওয়াল। শুরুটা যশস্বী করলেও শেষটা করলেন রিয়ান পরাগ। রান পেলেন সঞ্জু স্যামসনও। রাজস্থানের ব্যাটারদের কিছুটা সুবিধা করে দিল পঞ্জাবের ফিল্ডিং। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করল রাজস্থান। চণ্ডীগড়ের এই মাঠে প্রথম বার ২০০-র বেশি রান হল আইপিএলে। অর্থাৎ, জয়ের হ্যাটট্রিকের জন্য ঘরের মাঠে সর্বাধিক রান তাড়া করতে হবে শ্রেয়স আয়ারদের।
টস জিতে চোখ বন্ধ করে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রেয়স। শুরুতে যশস্বী একটু সাবধানে খেলছিলেন। আগের তিন ম্যাচে মাত্র ৩৪ রান করেছেন তিনি। বোঝা যাচ্ছিল, চাপে রয়েছেন। যশস্বীকে থিতু হওয়ার সময় দেন সঞ্জু। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাট করছিলেন তিনি। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে বড় শট খেলছিলেন। পাওয়ার প্লে-তে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৫৩ রান করে রাজস্থান।
কয়েকটি বল খেলার পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পান যশস্বী। তিনিও রান করছিলেন। কিন্তু যে ভাবে তিনি সহজেই বড় শট খেলেন তা মারতে পারছিলেন না। ৮৯ রানের মাথায় রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কা দেয় পঞ্জাব। লকি ফার্গুসনের বলে ৩৮ রানে আউট হন সঞ্জু। তিন নম্বরে নেমে পরাগও এই ম্যাচে মারমুখী ব্যাটিং শুরু করেন। যশস্বীও রানের গতি বাড়ান।
অর্ধশতরান করেন যশস্বী। কিন্তু আইপিএলে এটি তাঁর সবচেয়ে মন্থর অর্ধশতরান। ৫০ পার করার পরে কয়েকটি বড় শট মারেন যশস্বী। শেষ পর্যন্ত ফার্গুসনের বলেই ৬৭ রানে ফেরেন তিনি। নীতীশ রানা শুরু থেকে বড় শট মারলেও বেশি ক্ষণ টিকতে পারেননি। ১২ রান করে আউট হন।
ডেথ ওভারের জন্য অর্শদীপ সিংহ, মার্কো জানসেন ও মার্কাস স্টোইনিসকে রেখেছিলেন শ্রেয়স। পরাগ ও শিমরন হেটমেয়ার প্রতি বলে বড় শট খেলার চেষ্টা করছিলেন। পঞ্জাবের পেসারেরা বলের গতির হেরফের করছিলেন। ফলে কয়েকটি বল ব্যাটে লাগেনি। রান তোলার গতি কমছিল। তার মাঝেই দুই ব্যাটারের একটি করে ক্যাচ পড়ে। সেই সময় দু’জন আউট হলে সমস্যায় পড়ত রাজস্থান। পঞ্জাবের খারাপ ফিল্ডিং তাদের সুবিধা করে দেয়।
শেষ দিকে হাত খোলা শুরু করেন পরাগ। হেটমেয়ার ২০ রান করে আউট হলেও শেষ পর্যন্ত থাকেন পরাগ। তাঁকে সঙ্গ দেন ধ্রুব জুরেল। শেষ পর্যন্ত ২০০ রান পার করে রাজস্থান। পরাগ ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। চণ্ডীগড়ের এই মাঠে আইপিএলে এটিই সর্বাধিক রান। এই মাঠে এখনও পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ হয়েছে। যে দল প্রথমে ব্যাট করেছে তারা দু’টি ম্যাচ জিতেছে। পরিসংখ্যান বলছে, এই মাঠে রান তাড়া করা সহজ হবে না শ্রেয়সদের পক্ষে। এখন দেখার জয়ের হ্যাটট্রিক পঞ্জাব করতে পারে কি না।