সঞ্জু স্যামসন। —ফাইল চিত্র।
শুরুটা হয়েছিল জোড়া হার দিয়ে। তৃতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরেছিল রাজস্থান। চতুর্থ ম্যাচও জিতেছে তারা। অধিনায়ক হিসাবে ফিরে প্রথম ম্যাচেই পঞ্জাবকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়েছেন সঞ্জু স্যামসন। খেলা শেষে সঞ্জু জানিয়েছেন, অবশেষে সেরা একাদশ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা।
প্রথম তিনটি ম্যাচে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে খেলেছেন সঞ্জু। আঙুলে চোট থাকায় ফিল্ডিং করেননি তিনি। তাঁকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে খেলানোয় এক জন অতিরিক্ত ক্রিকেটারের অভাব হচ্ছিল রাজস্থান দলে। কিন্তু আগের ম্যাচ থেকে সেই সমস্যা দূর হয়েছে। এমনটাই মনে করছেন সঞ্জু।
খেলা শেষে রাজস্থানের অধিনায়ক বলেন, “আমাদের প্রথম একাদশ বাছতে একটু সমস্যা হচ্ছিল। অবশেষে সেরা একাদশ পেয়েছি। এই দলটাই আগামী দিনে সফল হবে। প্রত্যেককে খালি নিজের শরীরের খেয়াল রাখতে হবে। কেউ চোট পেলে আবার ভারসাম্য নষ্ট হবে।”
সঞ্জুর মতে, তাঁদের ব্যাটিং আক্রমণ বেশ শক্তিশালী। সেখানে বিদেশি ক্রিকেটারের পাশাপাশি ভাল দেশীয় ক্রিকেটারও রয়েছেন। তাই এই রকম আক্রমণাত্মক ক্রিকেট আগামী দিনেও তাঁরা খেলবেন। সঞ্জুর কথায়, “আমরা জানতাম চণ্ডীগড়ের মাঠে ১৮০-১৯০ রান তাড়া করা সহজ হবে না। তাই পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম। আমাদের ব্যাটিং বেশ শক্তিশালী। সেটা এই ম্যাচে আমরা দেখেছি। ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত রানের গতি খুব বেশি না থাকলেও শেষ পর্যন্ত ২০৫ রান করেছি। যা এই উইকেটে অনেক। আগামী দিনেও এই ভাবেই খেলব।”
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে নজর কেড়েছেন জফ্রা আর্চার ও সন্দীপ শর্মা। আর্চার প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট নিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। সন্দীপ নিয়েছেন দুই উইকেট। তাঁদের এই জুটি আগামী দিনে অনেক দলকে সমস্যায় ফেলবে বলে মনে করেন সঞ্জু। তিনি বলেন, “ওদের জুটি খুব ভয়ঙ্কর। এক জন ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বল করে তো অন্য জন ১০৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। যে কোনও পরিস্থিতিতে ওদের উপর ভরসা করতে পারি। শুরুতে আর্চার ও শেষে সন্দীপ প্রতিপক্ষকে সমস্যায় রাখতে ওস্তাদ। ওদের খেলায় আমি খুব খুশি।”
রাজস্থানের পরের খেলা বুধবার। অহমদাবাদের মাঠে শুভমন গিলের গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন সঞ্জুরা। সেই ম্যাচ জিতলে জয়ের হ্যাটট্রিক করবে রাজস্থান।