রিয়ান পরাগ। —ফাইল চিত্র।
২০১৯ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রিয়ান পরাগ। রানও করেছিলেন। কিন্তু পরের বছর ব্যর্থ হতেই তাঁকে কটাক্ষ করতে শুরু করেন অনেকে। মাঠের মধ্যে বিহু নেচেছিলেন অসমের রিয়ান। সেই নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছিল তাঁকে। জানালেন কী ভাবে নিজের কঠিন সময় পার করে এসেছেন।
এই বছর দেওধর ট্রফিতে আবার রান পেয়েছেন রিয়ান। প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটারও হয়েছেন। রিয়ান জানিয়েছেন যে, কে তাঁকে ভাল বলল, কে খারাপ বলল, এখন আর সে সব নিয়ে ভাবেন না। রিয়ান বলেন, “এখন আমি বলতেই পারি যে, সমালোচনা আমার গায়ে লাগে না। কিন্তু এটা আমি শিখেছি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে। বুঝেছি যে, কিছু জিনিস নিজের মধ্যেই রেখে দিতে হয়। ২০১৯ সালে ভাল খেলেছিলাম। তখন আমার ১৭ বছর বয়স। সেই সময় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলাম। সাফল্য পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল আমি উড়ছি। সংবাদমাধ্যম এমন ভাবে আমাকে নিয়ে লাফালাফি করছিল, মনে হচ্ছিল আমিই রাজা। কিন্তু পরের দিন যে-ই রান পেলাম না, অমনি সব কিছু পাল্টে গেল। যারা আমার প্রশংসা করছিল, দেখলাম তারাই আমার সমালোচনা করছে। সেই সময় আমি দুবাইয়ে। করোনার জন্য নিভৃতবাস চলছে। মনে হত, কী করছি আমি? নিজেকে সব সময় প্রশ্ন করতাম। যে নাচের জন্য আমি পরিচিত ছিলাম, সেই নাচ নিয়েই কটাক্ষ শুরু হয়েছিল। আমাকে ট্রোল করা হয়েছিল।”
এই বছরও আইপিএলে রান পাননি রিয়ান। এ বারেও তাঁর সমালোচনা করা হয়েছিল। রিয়ানকে একটা সময় রাজস্থান দল থেকে বাদ দিয়ে দেয়। মাত্র সাতটি ম্যাচ খেলানো হয় তাঁকে। করেন ৭৮ রান। গড় ছিল মাত্র ১৩। রিয়ান বলেন, “প্রথম বছর আইপিএল খেলার পরেই বুঝে গিয়েছিলাম যে, কে কী বলল তা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। কারণ আমি সেগুলো বন্ধ করতে পারব না।” দেওধর ট্রফিতে পূর্বাঞ্চলের হয়ে খেলে রান পেয়েছেন রিয়ান। শেষ পাঁচ ম্যাচের দু’টিতে শতরান করেন। ফাইনালে ৯৫ রান করেন। আগামী মরসুমে ভাল খেলার আশায় রিয়ান।