test cricket

বৃষ্টির তিন টেস্ট! ডুবতে হল রোহিত, স্টোকসদের, এখনও ভেসে বাবরেরা

একের পর এক টেস্ট ম্যাচে থাবা বসাচ্ছে বৃষ্টি। ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের পর শ্রীলঙ্কা। সুবিধাজনক জায়গায় থেকেও জয় হাতছাড়া হয়েছে স্টোকস, রোহিতদের। হতাশা বাড়ছে বাবরদেরও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ২২:০১
Share:

বৃষ্টিতে স্টোকস মাথা বাঁচাতে পারলেও ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট বাঁচাতে পারেননি। ছবি: আইসিসি।

পৃথিবীর কোনও প্রান্তেই নির্বিঘ্নে শেষ হতে পারছে না টেস্ট ক্রিকেট। ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়, শ্রীলঙ্কা। বিশ্বের তিন প্রান্তে তিনটি টেস্টেই জল ঢালল বৃষ্টি। সুবিধাজনক জায়গায় থাকলেও জয় হাত ছাড়া হয়েছে বেন স্টোকস, রোহিত শর্মাদের। ডুবতে হয়েছে ইংল্যান্ড এবং ভারতকে। এখনও পুরোপুরি না ডোবেনি পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা টেস্ট। ভেসে রয়েছেন বাবর আজ়মরা।

Advertisement

ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া অ্যাশেজ সিরিজ়ের চতুর্থ টেস্টের শেষ দিন খেলা হয়নি বৃষ্টির জন্য। ম্যাঞ্চেস্টারে সুবিধাজনক জায়গায় থেকেও সিরিজ়ে সমতা ফেরাতে পারেননি স্টোকসেরা। বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে ভারতের ২-০ ব্যবধানে সিরিজ় জয়ের আশাও। মঙ্গলবার বৃষ্টির জন্য পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা টেস্টের দ্বিতীয় দিনে খেলা হল মাত্র ১০ ওভার। তিনটি টেস্ট ম্যাচ পৃথিবীর তিন প্রান্তে। তবু পর পর তিন দিন বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল খেলা।

বৃষ্টি ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য যতটা বিরক্তির তার থেকে অনেক বেশি বিরক্তিকর ক্রিকেটারদের কাছে। সব রকম প্রস্তুতি নিয়েও তাঁদের সাজঘরে বন্দি থাকতে হয় সারা দিন। মঙ্গলবার যেমন বাবর আজ়ম, মহম্মদ রিজ়ওয়ানেরা সারা দিন সাজঘরে বসে নিজেদের ব্যাটগুলি ভাল করে পরীক্ষা করলেন। সাজঘরে বসে বসে বিরক্ত হয়ে বৃষ্টির মধ্যেই দৌড়ে প্লাস্টিক ঢাকা মাঠে নেমে গেলেন পাকিস্তানের হাসান আলি।

Advertisement

অন্য দিকে বৃষ্টির জন্য ম্যাঞ্চেস্টারে জয় দূরে সরে যাচ্ছে দেখে হতাশ জো রুট কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, “ইংল্যান্ডে গ্রীষ্মের সময় রাত ১০টা পর্যন্ত সূর্যের আলো থাকে। তাহলে কেন আমরা সেই সময় পর্যন্ত খেলতে পারব না? আরও অনেক উপায় আছে খেলা চালিয়ে যাওয়ার। সেই চেষ্টাই করা উচিত।” ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়কের মতে, যে কোনও পরিস্থিতিতে লক্ষ্য হওয়া উচিত ম্যাচটা যাতে হয়। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ ড্র হয়ে যাওয়া পছন্দ হয়নি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সেরও। ম্যাঞ্চেস্টারে হেরে যেতে পারেন জেনেও তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ছিল অ্যাশেজ জেতা। অ্যাশেজ ধরে রাখতে পেরে আমরা খুশি। তবে বৃষ্টির জন্য এ ভাবে ম্যাচ শেষ হোক সেটা আমরা চাইনি। আমরা টেস্ট জিতেই অ্যাশেজ জিততে এসেছি।’’

বৃষ্টিতে হতাশ এক ক্রিকেটপ্রেমী। ছবি: আইসিসি।

রুট বা কামিন্সের এই মন্তব্য থেকে মাঠে নামতে না পারার হতাশাই ফুটে উঠেছে। ক্রীড়াবিদরা সব সময় চান মাঠে লড়াই করে ফলাফল পেতে। ম্যাচের ফল নিজেদের পক্ষে না এলেও তাঁরা লড়াই করতে চান। বৃষ্টি বা অন্য কোনও প্রাকৃতিক কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগি পছন্দ নয় তাঁদের।

অনেকটা একই রকম কথা বলেছেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার হ্যারি ব্রুক। চতুর্থ টেস্টে সুবিধাজনক জায়গায় থেকেও জয় হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ ব্রুক। পঞ্চম টেস্ট জিতে ইংল্যান্ড সিরিজ় ড্র করলেও শেষ বারের বিজয়ী হিসাবে অ্যাশেজ থাকবে অস্ট্রেলিয়ার দখলেই। ব্রুক বলেছেন, ‘‘শেষ ম্যাচে আমাদের আধিপত্য ছিল। পুরো খেলা হলে আমাদের জেতার সুযোগ ছিল। শেষ টেস্ট জিততে পারলে সেটা আমাদের নৈতিক জয় হবে। ওভালে সব সময় রোদ থাকবে এমন নিশ্চয়তা নেই। আমাদের কিছু বলার বা করার নেই। তবু আগের ম্যাচের মতো ক্রিকেট খেলে আমরা অবশ্যই জেতার চেষ্টা করব।’’

পৃথিবীর অন্য প্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট জিততে না পারার আফসোস শোনা গিয়েছে রোহিতের গলাতেও। ভারতীয় দলের অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমরা জেতার চেষ্টা করেছিলাম। সেই কারণে চতুর্থ দিন আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছিলাম। প্রথম থেকে আক্রমণাত্মক মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত জিতে গেল।’’

ক্রিকেটের পথে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন বরুণদেব। যা হতাশা বাড়াচ্ছে ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটপ্রেমীদের। বৃষ্টির সামনে ক্রিকেট যেন বড্ড অসহায়। ‘আত্মসমর্পণ’ করা ছাড়া উপায় নেই!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement