রাহুল দ্রাবিড়। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের রমরমার যুগে লাল বলের ক্রিকেটকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের সুযোগ মতো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাল বলের ক্রিকেটের প্রতি ক্রিকেটারদের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ঘোষণা ‘ইনসেন্টিভ’ করেছেন। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির পক্ষে নন ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। কয়েক দিন আগে শার্দূল ঠাকুর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সূচি নিয়ে। ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দ্রাবিড়।
দ্রাবিড় জানিয়েছেন, নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন এমন কয়েক জন ক্রিকেটারের কাছে ব্যস্ত সূচির কথা শুনেছেন। তাঁর পরামর্শ, ক্রিকেটারদের এই সমস্যার দিকটি দেখা উচিত বিসিসিআই কর্তাদের। এ বছর রঞ্জি ট্রফি শুরু হয়েছিল ৫ জানুয়ারি। প্রতিযোগিতা শেষ হয়েছে ১৪ মার্চ। আড়াই মাসেরও কম সময় রঞ্জি ট্রফির মতো প্রতিযোগিতা শেষ করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বোর্ড সচিবের ইনসেন্টিভ ঘোষণা পর দ্রাবিড় বলেছিলেন, ‘‘শার্দূলের কিছু বক্তব্য দেখেছি। দলের নতুন কিছু ছেলেও ঘরোয়া ক্রিকেটের ঠাসা সূচির কথা বলেছে। আমাদের উচিত ক্রিকেটারদের কথা শোনা। মনে হচ্ছে, ওদের উপর চাপ একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে। শরীরের ধকল সামলানোর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচি নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার। ভারতের ক্রিকেট মরসুম এমনিতেই বেশ বড়। খেলোয়াড়দের জন্য এটা বেশ কঠিন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রঞ্জি ট্রফি বড় প্রতিযোগিতা। দলীপ, দেওধর ট্রফির মতো প্রতিযোগিতাগুলি যোগ করলে মরসুম বেশ লম্বা। খুব ভুল না করলে দলীপ ট্রফি শুরু হয় জুন মাসে। আইপিএলের এক মাস পর। সমস্যা হল, যারা ভারতীয় দলে ঢোকার চেষ্টা করছে, তাদের উপরই সব থেকে বেশি চাপ পড়ছে। কারণ তারা সব ম্যাচ খেলতে চায়। ফলে ওদের কাজ বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’’
মুম্বইয়ের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন ভারতীয় দলের অলরাউন্ডার শার্দূল। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচের পর তিনি বলেছিলেন, অত্যন্ত ঘন ঘন ম্যাচ খেলতে হচ্ছে তাঁদের। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। এত কঠিন সূচি রঞ্জি ট্রফিতে আগে কখনও ছিল না। এমন সূচি চললে দু’বছরের মধ্যে ক্রিকেটারদের চোট-আঘাতের সমস্যা দু’বছর পর অনেক বৃদ্ধি পাবে।’’
লাল বলের ক্রিকেটে বিসিসিআই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ায় আপত্তি নেই কারও। তবে দ্রাবিড়, শার্দূলেরা চান ক্রিকেটারদের চাপের কথা মাথায় রেখে সূচি তৈরি করা উচিত। বিশ্রামের পর্যাপ্ত সময় থাকা উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা।