ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
এশিয়া কাপের জন্যে এখনও দল ঘোষণা করেনি ভারত। সেই দল ঘোষণা হতে পারে ২১ অগস্ট, অর্থাৎ আগামী সোমবার। দিল্লিতে একটি বৈঠক ডেকেছেন নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর। তবে সেই বৈঠকে অভিনব একটি ঘটনা হতে চলেছে। কোচ রাহুল দ্রাবিড় হাজির থাকতে চলেছেন বৈঠকে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা হাজির থাকবেন ভিডিয়ো কনফারেন্সে।
নির্বাচনের সময়ে সাধারণত কোচকে রাখা হয় না। রবি শাস্ত্রী কোচ থাকাকালীন কখনও দল নির্বাচনের বৈঠকে থাকেননি। কিন্তু আগামী কয়েক মাসে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতাগুলির কথা মাথায় রেখে দ্রাবিড়কে ডাকা হয়েছে। শোনা গিয়েছে, অজিত নিজেই নাকি প্রাক্তন সতীর্থকে রাখতে আগ্রহী। তিনি সবে দায়িত্ব নিয়েছেন। সামনে এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতার দল বেছে নেওয়ার দায়িত্ব। বৈঠকে দ্রাবিড় হাজির থাকলে তাঁর সুবিধাই হবে।
সূত্রের খবর, এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের দলের মধ্যে খুব একটা ফারাক থাকবে না। মোটামুটি একই দল থাকবে। আবশ্যিক কিছু পরিবর্তন হতে পারে। তবে দুটি প্রতিযোগিতার জন্যে একইসঙ্গে দল ঘোষণার সম্ভাবনা নেই। শুধু এশিয়া কাপেরই দল ঘোষণা হবে। আপাতত এশিয়া কাপ এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজ়ে একই দল খেলিয়ে দেখে নেওয়া হবে।
যশপ্রীত বুমরার ক্রিকেটে ফেরা কিছুটা চিন্তা কমিয়েছে নির্বাচকদের। কিন্তু প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে আরও একটু দেখে নেওয়া হতে পারে। মহম্মদ সিরাজ় এবং মহম্মদ শামিকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। হার্দিক পাণ্ড্যের সঙ্গেই শার্দূল ঠাকুরকে অলরাউন্ডার হিসাবে নেওয়া হতে পারে। অনেকে আবার দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের কথা ভেবে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নেওয়ার কথা বলছেন। স্পিন বিভাগে রবীন্দ্র জাডেজা এবং কুলদীপ যাদব মোটামুটি নিশ্চিত। সে ক্ষেত্রে অশ্বিন, অক্ষর পটেল এবং যুজবেন্দ্র চহালের মধ্যে যে কোনও একজনকে বেছে নিতে হবে।
সমস্যা রয়েছে ব্যাটিং বিভাগ নিয়েও। কেএল রাহুল এবং শ্রেয়স আয়ার পুরোপুরি সুস্থ হবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দু’জনেই জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে পুরোদমে অনুশীলন করছেন। শ্রেয়সের অবস্থা বেশ ভাল। ৫০ ওভার ফিল্ডিং করেছেন। ৩৮ ওভার ব্যাট করেছেন। তিনি থাকলে চারের সমস্যা মিটবে। রাহুল দলে এলে কিপার হিসাবে খেলবেন। তিনি না পারলে ঈশান কিশনকে দিয়েই কাজ চালানো হবে। সে ক্ষেত্রে উইকেটকিপিংয়ে কোনও অভিজ্ঞ থাকছেন না।