পাকিস্তানের কাছে হারের পর কোহলীদের দলে কি আমূল পরিবর্তন হবে? কারা খেলবেন প্রথম একাদশে?
লোকেশ রাহুল: বিশ্বকাপ শুরুর আগেই বিরাট কোহলী বলে দিয়েছিলেন, লোকেশ রাহুলকে ছাড়া ভারতীয় দলের ওপেনিং ভাবা সম্ভব নয়। ফলে শুধু মাত্র প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতার ভিত্তিতে তাঁকে বাদ দেওয়া হবে না।
রোহিত শর্মা: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম বলেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। প্রশ্ন উঠেছিল, রোহিতকে বাদ দেওয়া হবে কি না। এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে হেসেছিলেন কোহলী। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন রোহিতকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই নেই।
বিরাট কোহলী: তিন নম্বরে আর কোনও বিকল্প নেই। প্রথম ম্যাচে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান তাঁরই।
ঈশান কিশন: প্রথম ম্যাচে মাত্র আট বল স্থায়ী হয়েছিল সূর্যকুমার যাদবের ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর জায়গায় চার নম্বরে ঈশান খেলতেই পারেন।
ঋষভ পন্থ: প্রথম ম্যাচে কোহলীর পর ভারতীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ রান ঋষভেরই। চতুর্থ উইকেটে কোহলীর সঙ্গে ৫৪ রান যোগ করেন। না হলে ভারত হয়ত দেড়শ রান পার করতে পারত না।
শার্দূল ঠাকুর: হার্দিক পাণ্ড্যর জায়গায় খেলতে পরেন শার্দূল। প্রথম ম্যাচে হার্দিক বল করতে পারেননি। নতুন করে চোট পান। যদিও তিনি খেলার জায়গায় রয়েছেন, তবু প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
রবীন্দ্র জাডেজা: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবথেকে কম রান দিয়েছিলেন জাডেজা। ব্যাট হাতে ম্যাচ ঘোরানোর ক্ষমতা রাখেন। তুখোড় ফিল্ডার।
বরুণ চক্রবর্তী: প্রথম ম্যাচে চার ওভারে ৩৩ রান দিলেও তাঁকে এখনই বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি এখনও অজানা। এই সুযোগ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও কাজে লাগাতে চাইবেন কোহলী।
রাহুল চাহার: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলানো হয়নি। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মহম্মদ শামিকে বসিয়ে বাড়তি একজন স্পিনার খেলানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে খেলতে পারেন রাহুল চাহার।
ভুবনেশ্বর কুমার: যেহেতু শুধু একটি ম্যাচে হারের ভিত্তিতে দলে আমুল পরিবর্তন করা হবে না, তাই ভুবনেশ্বর কুমারেরই নতুন বলে আরও একবার শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে।
যশপ্রীত বুমরা: প্রথম ম্যাচে ভারতের জোরে বোলারদের মধ্যে তিনিই সবথেকে ভাল বল করেছিলেন। তাঁর তিন ওভারে উঠেছিল ২৫ রান। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও নতুন বলে ভুবনেশ্বরের সঙ্গী হবেন বুমরাই।