বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বুধবার চোটের জন্য পাঁচ ম্যাচের সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন লোকেশ রাহুল এবং কুলদীপ যাদব। এই পরিস্থিতিতে কী হতে পারে প্রথম ম্যাচে ভারতের প্রথম একাদশ?
রাহুল ছিটকে যাওয়ায় ইনিংস শুরু করতে পারেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। দেশের হয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও তেমন সাফল্য পাননি। আইপিএলে ভাল ছন্দে ছিলেন। নিজেকে প্রমাণ করার আরও একটা সুযোগ পেতে পারেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে।
রুতুরাজের সঙ্গে ইনিংসের শুরুতে দেখা যেতে পারে বেঙ্কটেশ আয়ারকে। আইপিএলে চেনা ছন্দে না থাকলেও এই আগ্রাসী ব্যাটারের উপর ভরসা রাখছে ভারতীয় দল।
তিন নম্বরে নামতে পারেন ঈশান কিষান। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ভাল খেলেছেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারেন তিনি।
ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বরে সম্ভবত খেলবেন শ্রেয়স আয়ার। আইপিএলের আগের আন্তর্জাতিক সিরিজগুলোয় দারুণ ছন্দে ছিলেন কেকেআর অধিনায়ক।
ব্যাটিং অর্ডারের পাঁচ নম্বরে নামার সম্ভাবনা ঋষভ পন্থের। রাহুল ছিটকে যাওয়ায় তিনিই অধিনায়ক। উইকেট রক্ষার পাশাপাশি নেতৃত্বের দায়িত্বও সামলাতে হবে পন্থকে।
ছয় নম্বরে খেলবেন হার্দিক পাণ্ড্য। আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর তাঁর খেলা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। বোলার হার্দিককেও আবার দেখা যেতে পারে আন্তর্জাতিক ম্যাচে। দলের সহ-অধিনায়কও তিনি।
ব্যাটিং অর্ডারের সাত নম্বরে দেখা যেতে পারে দীপক হুডাকে। আগ্রাসী এই ব্যাটার অফ স্পিনার হিসেবেও বেশ কার্যকর। তিনি প্রথম একাদশে থাকলে ভারতীয় দলের ভারসাম্য বাড়বে।
ব্যাটিং অর্ডারের আট নম্বরে দেখা যেতে পারে যুজবেন্দ্র চহালকে। আইপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির দলে থাকা নিয়ে দ্বিমত নেই বললেই চলে।
দলে দ্বিতীয় স্পিনার হিসেবে ব্যাটিং অর্ডারের নবম স্থানে দেখা যেতে পারে অক্ষর পটেলকে। বাঁহাতি স্পিনারের ব্যাটের হাত খারাপ নয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগেই পরীক্ষিত তিনি।
চমক থাকতে পারে জোরে বোলিং বিভাগে। ব্যাটিং অর্ডারের দশম স্থানে খেলার সম্ভাবনা আর্শদীপ সিংহের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হতে পারে পঞ্চাবের এই বাঁহাতি জোরে বোলারের।
আর্শদীপের সঙ্গেই অভিষেক হতে পারে উমরান মালিকের। তাঁর বলের গতি বিপক্ষকে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। জম্মু-কাশ্মীরের তরুণ জোরে বোলারের প্রথম একাদশে থাকার সম্ভাবনা প্রবল।