ধর্মশালায় ম্যাচের আগে রোহিত শর্মা (বাঁ দিকে) ও রাহুল দ্রাবিড়। ছবি: পিটিআই
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে শেষ বার নিউ জ়িল্যান্ডকে হারিয়েছিল ভারত। সেই দলে যাঁরা খেলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে এক জন রাহুল দ্রাবিড়। তিনি এখন ভারতীয় দলের কোচ। গত ২০ বছরে আইসিসি প্রতিযোগিতায় নিউ জ়িল্যান্ডকে দেখলেই যেন আগে থেকে চাপে পড়ে যায় ভারত। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল তার শেষতম সংস্করণ। রাহুল দ্রাবিড় চান, সেটাই যেন শেষতম হয়। রবিবার ধর্মশালার মাঠে যেন ২০ বছরের খরা কাটাতে পারে ভারত। সেই লক্ষ্যেই রয়েছেন রোহিত শর্মারা।
এ বারের বিশ্বকাপে ভারত ও নিউ জ়িল্যান্ড দু’দলই সমান ফর্মে রয়েছে। দু’দলই নিজেদের প্রথম ৪ ম্যাচ জিতে ৮ পয়েন্ট পয়েছে। নেট রানরেটে ভারতকে টপকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে রয়েছে নিউ জ়িল্যান্ড। অর্থাৎ, রবিবার যে দল জিতবে সেই দল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে নিজেদের জায়গা আরও পাকা করবে। ধর্মশালায় জোর টক্কর হতে পারে।
দু’দলই আবার চোটের সমস্যায় রয়েছে। এক দিকে নিউ জ়িল্যান্ড পাচ্ছে না দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে। হাতের আঙুলের হাড়ে চিড় ধরেছে তাঁর। ফলে বেশ কয়েকটি ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকতে হবে উইলিয়ামসনকে। অন্য দিকে আবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পায়ে চোট পেয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না দলের অলরাউন্ডার। হার্দিক না থাকায় ভারতীয় দলের প্রথম একাদশের ভারসাম্যে সমস্যা হতে পারে। সেই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে ভারতকে।
ম্যাচের আগে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী রোহিত। ভারত অধিনায়ক জানিয়েছেন, অতীতে কী হয়েছে সে দিকে তাকাতে চান না তিনি। চান সামনের দিকে তাকাতে। রবিবার ধর্মশালায় নিজেদের সেরাটা দিতে চান। ম্যাচ জিততে চান। তবে দলের ছেলেদের উপর অতিরিক্ত চাপ দিতে চান না রোহিত। তিনি চান, সবাই যাতে মাঠে নেমে খেলাটা উপভোগ করেন।
হার্দিক চোট পাওয়ায় অবশ্য হতাশ কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তিনি ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘হার্দিক আমাদের দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ও নিশ্চিত ভাবেই নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচে খেলতে পারবে না। বাকি যে ১৪ জন রয়েছে তাদের নিয়েই খেলতে হবে। দেখা যাক প্রথম একাদশ কী রকম দাঁড়ায়। তবে প্রথম চার ম্যাচে দলে যে ভারসাম্য ছিল, সেটা নিশ্চিত ভাবেই আমরা মিস্ করব।” হার্দিকের বদলে প্রথম একাদশে কে আসতে পারেন তা খোলসা করেননি দ্রাবিড়। এটাও জানাননি, হার্দিকের চোটের অবস্থা এখন কেমন রয়েছে।
নিউ জ়িল্যান্ডের প্রধান শক্তি দলের দুই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট ও মিচেল স্যান্টনার। দু’জনেই বাঁহাতি। ভারতীয় দলে আবার ডানহাতি ব্যাটারদের আধিক্য। ফলে নিউ জ়িল্যান্ডের এই দুই বোলারকে ভাল ভাবে সামলাতে হবে রোহিতদের। সেটা মোটেই সহজ কাজ নয়। তার জন্য আলাদা করে পরিকল্পনা করেছেন রোহিতেরা।
রবিবার ভারতীয় দলে খেলতে পারেন মহম্মদ শামি। সেটা এক দিক থেকে ভাল হতে পারে ভারতের। কারণ, ধর্মশালার উইকেটে বাউন্স বেশি। সুবিধা পান পেসারেরা। শামি সাধারণত লেংথ বল করতে ভালবাসেন। তার মধ্যে বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত খেলতে পাননি তিনি। তাই রবিবার সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগাতে চাইবেন তিনি। এখন দেখার এই লড়াইয়ের শেষে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ে কোন দল!