—প্রতীকী ছবি।
বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন আমাদের সর্ব ক্ষণের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। ইমেল, হোয়াট্সঅ্যাপ করা থেকে সমাজমাধ্যমে পোস্ট কিংবা খেলা ও ওয়েব সিরিজ় দেখতে হলে স্মার্টফোনই ভরসা। ফলে অফিসে, রাস্তায় বা প্রকাশ্য জায়গায় এই বৈদ্যুতিন ডিভাইস অহরহ ব্যবহার করে আমজনতা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ স্মার্টফোন সব সময়ের জন্য পাসওয়ার্ড দিয়ে বন্ধ রাখা উচিত। কারণ, অধিকাংশ গ্রাহকই এতে ইউপিআই (ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস) এবং নেট ব্যাঙ্কিং করে থাকেন।
কিন্তু, মুশকিল হল, প্রকাশ্য জায়গায় স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়ে পাসওয়ার্ড দিলে আশপাশের অনেকেই তা বুঝে ফেলতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের তথ্য চুরি যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থেকে যায়। তখন সর্বস্বান্ত হতে পারেন গ্রাহক। আর তাই স্মার্টফোনের ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ড লুকিয়ে রাখা উচিত। সেই উপায় কিন্তু ডিভাইসটির মধ্যেই রয়েছে। কী ভাবে অতি সহজে পাসওয়ার্ড লুকোনো যাবে, তা এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল।
এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের প্রথম পরামর্শ হল স্মার্টফোন ব্যবহারকারীকে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। সেটি কমপক্ষে ১২ থেকে ১৬টি অক্ষরের হওয়া উচিত। পাসওয়ার্ডটি অ্যালফানিউমারিক করতে পারলে ভাল হয়। অর্থাৎ ইংরেজি বর্ণ, অঙ্ক এবং বিশেষ অক্ষরের পাসওয়ার্ড হলে, সেটি ফোনকে সব সময়ে বাড়তি সুবিধা দিয়ে থাকে। ইংরেজি বর্ণ অবশ্যই ছোট ও বড় হাতের রাখতে বলেছেন তাঁরা। অন্য দিকে, বিশেষ অক্ষর হিসাবে ডলার, ইমেলের চিহ্ন বা হ্যাশ ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের দ্বিতীয় পরামর্শ হল, ফোনে পাসওয়ার্ড সেট করার সময়ে টু-ফ্যাক্টর চালু করতে হবে। এটি লগ ইন প্রক্রিয়াকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেবে। পাশাপাশি পাসওয়ার্ডের অটো ফিল বিকল্পটি চালু রাখতে বলেছেন তাঁরা। অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস— দু’টি প্ল্যাটফর্মেই এটি পাওয়া যায়। এগুলি চালু থাকলে ফোন ব্যবহারকারী ছাড়া অন্য কেউ পাসওয়ার্ড সম্পর্কে কিছুতেই জানতে পারবেন না।