রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেছিলেন রোহিত। মেহেদি হাসান মিরাজের একটি বল তাঁর প্যাডে লাগলে আম্পায়ার আউট দেন। রিভিউতে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্পের বাইরে লেগেছে। আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্ত দেখে রেগে যান রোহিত। সেটাই কাল হল। পরের বলেই বোল্ড হন তিনি। ১১ বলে ২৩ রান করেছেন তিনি। একটি চার ও তিনটি ছক্কা মেরেছেন ভারত অধিনায়ক। ৫৫ রানে প্রথম উইকেট পড়েছে ভারতের।
ভারতের দুই ওপেনার আগ্রাসী শুরু করেছেন। টি২০-র মেজাজে ব্যাট করছেন তাঁরা। রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়ালকে দেখে বোঝা যাচ্ছে, এই ম্যাচ জিততে চাইছেন তাঁরা। ৩ ওভারে ৫০ পার ভারতের।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ ২৩৩ রানে। ১০৭ রান করে অপরাজিত থেকে গেলেন মোমিনুল হক। কিন্তু কেউ তাঁকে সঙ্গ দিতে পারলেন না। ভারতের হয়ে যশপ্রীত বুমরা ৩টি উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আকাশ দীপ, মহম্মদ সিরাজ ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১টি উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা।
হাসান মাহমুদকে আউট করলেন মহম্মদ সিরাজ। ২৩২ রানে বাংলাদেশের নবম উইকেট পড়ল।
বিরতির পরে আরও এক উইকেট নিলেন বুমরা। তাইজুল ইসলামকে ৫ রানের মাথায় বোল্ড করেছেন তিনি। ২৩০ রানে ৮ উইকেট পড়েছে বাংলাদেশের।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরে শুরুটা ভাল করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বেশি ক্ষণ টানতে পারল না তারা। আবার উইকেট নিলেন যশপ্রীত বুমরা। ২০ রানের মাথায় মেহেদি বাসান মিরাজকে আউট করলেন তিনি। ২২৪ রানে বাংলাদেশের সপ্তম উইকেট পড়ল।
বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার মোমিনুল যিনি শুরু থেকেই সাবলীল খেলছিলেন। তাড়াহুড়ো করেননি। অবশ্য মারার বল ছাড়েননি। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে নিজের শতরান পূর্ণ করেন তিনি।
কানপুরে একের পর এক ভাল ক্যাচ ধরছেন ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। রোহিত শর্মার পরে এক হাতে ক্যাচ ধরলেন মহম্মদ সিরাজও। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বল ক্রিজ় থেকে বেরিয়ে মারতে গিয়েছিলেন শাকিব। বল অনেক উঁচুতে ওঠে। ক্যাচ ধরার জন্য শেষ মুহূর্তে সিরাজকে পিছন দিকে ঝাঁপাতে হয়। বাঁ হাতে বল তালুবন্দি করেন তিনি। ৯ রানে আউট শাকিব।
মহম্মদ সিরাজের বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে বড় শট মারতে গিয়েছিলেন লিটন দাস। মিড অফের উপর দিয়ে মারার চেষ্টা করেন তিনি। মিড অফে দাঁড়িয়েছিলেন রোহিত শর্মা। লাফিয়ে এক হাতে ক্যাচ ধরেন তিনি। ১৩ রান করে আউট লিটন। ১৪৮ রানে ৫ উইকেট পড়ল বাংলাদেশের।
মুশফিকুর আউট হলেও মোমিনুল ভাল খেলছেন। শুরুটা ধরে খেলার পরে ধীরে ধীরে হাত খুলছেন তিনি। অর্ধশতরান করেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটার। দলকে টানছেন তিনি।
চতুর্থ দিন শুরু থেকেই ভারতের দুই পেসার যশপ্রীত বুমরা ও আকাশ দীপ নিয়ন্ত্রিত বল করছিলেন। বাংলাদেশের ব্যাটারেরা হাত খুলতে পারছিলেন না। ভাল বল করার পুরস্কার পেলেন বুমরা। তাঁর বল ছাড়তে গিয়ে বোল্ড হলেন মুশফিকুর রহিম। ১১ রান করে আউট তিনি। ১১২ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ল বাংলাদেশের।
চতুর্থ দিন রোদ উঠেছে কানপুরে। ফলে নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন মাত্র ৩৫ ওভার ব্যাট করেছিল বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ১০৭ রান করেছিল তারা। দু’দিন পরে সেখান থেকেই ব্যাটিং শুরু করেছে বাংলাদেশ।