শাহিন আফ্রিদি। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি শাহিন আফ্রিদির। পাকিস্তান দল সূত্রে খবর, ম্যানেজমেন্টের এক জনের সঙ্গে বিরোধের কারণে বাদ পড়তে হয়েছে শাহিনকে। শান মাসুদের দলে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের ১২ জনের দলে শাহিনকে রাখেনি পাকিস্তান। কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল, সদ্য বাবা হওয়া জোরে বোলার পরিবার সঙ্গে সময় কাটাতে চান। একই সঙ্গে প্রথম একাদশে জোরে বোলার কমিয়ে স্পিনার বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছিল। ঘরের মাঠে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় দেশের অন্যতম সেরা জোরে বোলারকে ছাড়া পাকিস্তানের মাঠে নামার সিদ্ধান্ত বিস্মিত করেছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। পাকিস্তান দল সূত্রে খবর, শাহিনকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিছক তাঁর বাবা হওয়া নয়।
প্রথম টেস্টের পর সাজঘরে দলের জোরে বোলারদের ফিটনেস এবং পারফরম্যান্স নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন জেসন গিলেসপি। শাহিনদের বলের গতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন পাকিস্তানের টেস্ট দলের কোচ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক কর্তা বলেছেন, ‘‘শাহিনকে না খেলানোর সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টের। এক জন শাহিনকে পছন্দ করেন না। তবে শাহিনের মতো ক্রিকেটারের সঙ্গে এটা না করলেও পারতেন। এই সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ।’’ যদিও নির্দিষ্ট করে কারও নাম করেননি ওই কর্তা।
পিসিবি কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, শাহিন অবিচারের শিকার। এমন ঘটনা অবশ্য প্রথম ঘটল না। গত এক দিনের বিশ্বকাপে ব্যর্থতার দায় নিয়ে নেতৃত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন বাবর আজ়ম। শাহিনকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল। কিন্তু শুধু নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার পর গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে জোরে বোলারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
শুক্রবার থেকে পাকিস্তান-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হয়েছে। বৃষ্টির জন্য প্রথম দিন যদিও খেলা সম্ভব হয়নি। পাকিস্তান দলের পক্ষ থেকে শাহিনের প্রতি অবিচারের অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সরকারি ভাবে মন্তব্য করা হয়নি পিসিবির তরফেও।