বাবর আজম। — ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের ক্রিকেটে বিতর্ক থামছেই না। শুক্রবার পাকিস্তান বোর্ড এমন এক ক্রিকেটারকে নির্বাচকমণ্ডলীর উপদেষ্টা হিসাবে বেছে নিয়েছে, যিনি অতীতে ম্যাচ গড়াপেটায় যুক্ত ছিলেন। শাস্তি হিসাবে পাঁচ বছর কোনও রকম ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেননি। এমন এক ক্রিকেটারকে কী করে নির্বাচকদের পরামর্শ দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
শুক্রবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে পাক বোর্ড জানিয়েছে, নির্বাচকমণ্ডলীর পরামর্শদাতা হিসাবে সলমন বাট, কামরান আকমল এবং রাও ইফতিকার অঞ্জুমকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা ইতিমধ্যেই দায়িত্ব বুঝে নেওয়া শুরু করেছেন। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের পর আগামী বছর নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের যে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলবে পাকিস্তান, সেই দল বেছে নেওয়াই এই পরামর্শদাতাদের প্রথম কাজ হবে। নির্বাচনের কাজে যুক্ত না থাকার সময়ে তাঁরা স্কিল ক্যাম্প আয়োজনে সাহায্য করবেন।
এর মধ্যে সলমনকে ২০১০ সালে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়। হেডিংলেতে পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে গড়াপেটায় যুক্ত ছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক। মহম্মদ আমির ইচ্ছাকৃত ভাবে একটি নো বল করেছিলেন। সেটি তদন্তকারীদের নজরে এসেছিল। তদন্তের পর বাট এবং আমির দোষী প্রমাণিত হন। ২০১৬ সালে নির্বাসন শেষ হওয়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ খেলেন সলমন। কিন্তু জাতীয় দলে আর কখনও নেওয়া হয়নি তাঁকে। কিন্তু আমির তার পরেও পাকিস্তান দলের হয়ে বিশ্বকাপে খেলেছেন। গত মাসে পাক বোর্ড তাকে ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় ধারাভাষ্যের অনুমতি দেয়। এখন তিনি জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছেন।
শাস্তি পাওয়ার পর সলমন একাধিকবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন। তা গ্রাহ্য হয়নি। পাকিস্তানের হয়ে তিনি ৩৩টি টেস্ট, ৭৮টি এক দিনের ম্যাচ এবং ২৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।