(বাঁদিকে) বাবর আজ়ম এবং রোহিত শর্মা। —ফাইল চিত্র।
ভুলে যাও ভারতের কাছে হার। এখন শুধু সামনের ম্যাচগুলো নিয়ে ভাব। বাবর আজ়মদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা করতে এমনই বার্তা দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান জ়াকা আশরফ। দেশে তীব্র সমালোচনা চললেও ক্রিকেটারদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। যদিও আশরফ কয়েকটি ব্যাপারে ক্ষুব্ধ। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে আয়োজক ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন তিনি। তাঁর অসন্তোষের মূল কারণ নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের পরিবেশ।
গত ১৪ অক্টোবর আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান। বিশ্বকাপে ভারতের কাছে পাকিস্তানের টানা আট বার হারের সাক্ষী তিনি। দলের পারফরম্যান্সে অত্যন্ত হতাশ তিনি। তবু প্রতিযোগিতার মাঝে বাবরদের মনোবল ঠিক রাখতে রোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে হারকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না এই মুহূর্তে। ক্রিকেটারদের আমদাবাদের ম্যাচ নিয়ে না ভাবার পরামর্শ দিলেও তিনি নিজে কয়েকটি ব্যাপারে আইসিসির দ্বারস্থ হলেন। সোমবার দেশে ফিরে ভারত সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে পিসিবি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আশরফ। পিসিবির এক কর্তা বলেছেন, ‘‘একাধিক ব্যাপারে অসন্তুষ্ট পিসিবি চেয়ারম্যান। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ দেখতে আমদাবাদে গিয়েছিলেন তিনি। বেশ কিছু বিষয় তাঁর চোখে পড়েছে। সব মিলিয়ে তিনি বেশ অসন্তুষ্ট। তাঁর সঙ্গে ভারতের ক্রিকেট কর্তাদের ব্যবহারও যথাযছ ছিল না।’’
আমদাবাদে ম্যাচ হওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল পিসিবির। পরে মেনে নিলেও বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ভারতের আচরণে অসন্তুষ্ট পাক কর্তারা। বাবরদের ভারতের ভিসা পেতে সময় লাগা থেকে পাক সমর্থক এবং সাংবাদিকদের ভিসা না দেওয়া নিয়ে আগেই সুর চড়িয়েছেন পিসিবি কর্তারা। এ বার আমদাবাদের পরিবেশ নিয়েও আইসিসির দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। পিসিবির অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দর্শকদের আচরণ গ্রহণযোগ্য ছিল না। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের নানা ভাবে বিদ্রুপ করা হয়েছে। বাবরের জন্য অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। টসের সময়ও পাক অধিনায়ককে বিদ্রুপ করে আমদাবাদের গ্যালারি। এই বিষয়গুলি আইসিসির ইভেন্টে কাম্য নয় জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ পাক কর্তারা। ভারত সে দেশের সমর্থক এবং সাংবাদিকদের ভিসা না দেওয়ায়ও ক্ষুব্ধ পিসিবি কর্তারা।
এর আগে পাকিস্তান দলের ডিরেক্টর মিকি আর্থারও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পরিবেশ নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, স্টেডিয়ামের পরিবেশ দেখে মনে হয়নি আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতা হচ্ছে। পরিবেশ অনেকটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ়ের মতো। যার পরিপ্রেক্ষিতে আইসিসির চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে শুধু বলেছেন, ‘‘আইসিসি সব সময় বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতা সফল করতে সেরা চেষ্টাই করে।’’
উল্লেখ্য, চার মাসের জন্য পিসিবি চেয়ারম্যান হয়েছেন আশরফ। বিশ্বকাপের মধ্যেই ৫ নভেম্বর তাঁর মেয়াদ শেষ হবে। পাকিস্তান সরকার মেয়াদ বৃদ্ধি না করলে পিসিবির শীর্ষ পদে থাকতে পারবেন না তিনি।