এ বার পাক ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দেখা যাবে অইন মর্গ্যানদের।
ক্রমশ একঘরে হয়ে যাওয়া পাকিস্তানের ক্রিকেট এ বার আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজমদের সাফল্যে ভর করে মাঠের ভিতরেও জমি পেতে শুরু করেছে পাকিস্তান। ইংল্যান্ড আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, তারা পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে যাবে। এখন তারা ঠিক করেছে, বাড়তি আরও দু’টি ম্যাচ খেলবে।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) চিফ এগজিকিউটিভ টম হ্যারিসন ও তাঁর সহকারী মার্টিন ডারলো এই সপ্তাহে পাকিস্তানে এসেছেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রামিজ রাজার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়। রামিজ জানিয়েছেন, এর আগে পাকিস্তান সফর বাতিল করে ইংল্যান্ড ভুল করেছে, সেটা বুঝতে পেরেছে ইসিবি।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে পাকিস্তানে খেলার কথা ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু জৈবদুর্গে থাকতে থাকতে ইংরেজ ক্রিকেটাররা ক্লান্ত, এই কারণ দেখিয়ে শেষ মুহূর্তে সফর বাতিল করে ইংল্যান্ড। সঙ্গে নিরাপত্তার কারণ তো ছিলই। তার ঠিক আগে একেবারে শেষ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডও পাকিস্তান সফর বাতিল করে দেশে ফিরে যায়।
রামিজ বলেন, ‘‘ইংল্যান্ড বোর্ডের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। গোটা ব্যাপারটা খুব একটা সহজ ছিল না। ওরা চাপে ছিল। সফর বাতিল হওয়ায় আমরাও ওই সময়ে নিজেদের ঠিক রাখতে পারিনি। তারপর আমরা যে ভাবে এগিয়েছে, সেটা সবাই দেখেছে। তার ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডেরই উচিত, পরস্পরকে বোঝা। মনে হয়, ইসিবি বুঝতে পেরেছে, তখন সফর বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না।’’
রামিজ আশাবাদী, এ বার নিউজিল্যান্ডও পাকিস্তান সফরে আসবে। তিনি বলেন, ‘‘ইংল্যান্ড বোর্ড তাদের ভুল বুঝতে পেরে বাড়তি দুটো ম্যাচ খেলতে চেয়েছে। এর জন্য আমরা ওদের কাছে কৃতজ্ঞ। এটা পাকিস্তানের সমর্থকদের জন্য খুব ভাল খবর। ওঁরাও মাঠে এসে বড় দলগুলোর খেলা দেখতে পাবেন। আশা করব, নিউজিল্যান্ডও এ বার আমাদের দেশে খেলতে আসবে।’’
অস্ট্রেলিয়াও জানিয়েছে তারা পাকিস্তানে খেলতে যাবে। তাদেরও ধন্যবাদ জানিয়ে রামিজ বলেন, ‘‘ইংল্যান্ডের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া সিরিজটাও আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করব, আমাদের ছেলেরা ভাল ক্রিকেট উপহার দেবে। আমি চাই, আমাদের দেশে, ক্রিকেট বোর্ড, দল, সমর্থকদের সবাই শ্রদ্ধা করুক। আমরা যদি সৎ থাকি, কাউকে ভয় পাওয়ার দরকার নেই আমাদের।’’