১১ উইকেট নিয়ে আবরার ছুঁয়ে ফেললেন মহম্মদ জাহিদকে। ছবি: পিটিআই
প্রথম ইনিংসে আবরার আহমেদ নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন ৪ উইকেট। অভিষেক টেস্টে ১১ উইকেট নিয়ে আবরার ছুঁয়ে ফেললেন মহম্মদ জাহিদকে। দু’জনেই পাকিস্তানের হয়ে প্রথম টেস্টে ১১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
১৯৯৬ সালে ডানহাতি পেসার জাহিদ ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে সেটাই ছিল সর্বোচ্চ। ২৮ বছর পর সেই রেকর্ড ছুঁলেন আবরার। জাহিদও সেই ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। পাকিস্তান জিতেছিল ইনিংস এবং ১৩ রানে। আবরার প্রথম দিনেই ৭ উইকেট নেন। এক সময় মনে হচ্ছিল তিনি ১০ উইকেট নিতে পারেন, কিন্তু জাহিদ মেহমুদ ৪ উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আবরার ২৯ ওভার বল করে ১২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন।
আবরার এবং জাহিদ বাদ দিয়ে পাকিস্তানের আর কোনও বোলার অভিষেক টেস্টে আটটির বেশি উইকেট নিতে পারেননি। টেস্টে অভিষেক ম্যাচে সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ভারতের নরেন্দ্র হিরওয়ানির। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রবার্ট ম্যাসি। এই দুই ক্রিকেটার ১৬টি করে উইকেট নিয়েছিলেন অভিষেক ম্যাচে।
ছোট থেকেই ক্রিকেট পাগল আবরার। মুলতানের স্টেডিয়ামে বীরেন্দ্র সহবাগ তিনশো করেছিলেন। সেই ম্যাচে সাকলিন মুস্তাককে আক্রমণ করেছিলেন ভারতীয় ওপেনার। মাত্র ৬ বছর বয়সে সাকলিনের বোলিংয়ের ভুল বার করছিলেন আবরার। পরিবারের সঙ্গে খেলা দেখতে বসে ধারাভাষ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। বিরক্ত হয়ে তাঁর বাবা আবরারকে অন্য ঘরে আটকে রাখেন।
এক সময় পর্যন্ত পাকিস্তানের তারকা বোলার আবদুল কাদিরকে চিনতেন না আবরার। ১৯ বছর বয়সে পাকিস্তানের সেই সময়ের জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কোচ মুস্তাক আহমেদের কাছে যান আবরার। সেই সময় মুস্তাক তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “তুমি আবদুল কাদিরকে চেন?” উত্তর আবরার বলেন, “সেটা কে? কখনও নাম শুনিনি।” অবাক হয়ে গিয়েছিলেন মুস্তাক। টানা ১০ মিনিট হেসেছিলেন তরুণ আবরারের কথা শুনে। এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবরারের দাদা সাজিদ বলেন, “সকলে হাসছিল। মুস্তাক ভাই ওকে বলেছিল, তুমি লেগ স্পিনার হিসাবে নাম লিখিয়েছ আর আমাদের দেশের সেরাকেই চেন না!” সেই আবরারই রেকর্ড গড়লেন রবিবার।