টেস্ট ক্রিকেটে ষষ্ঠ বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিলেন কামিন্স। ছবি: এএফপি
কথায় বলে, দিনের শুরুটা দেখেই বোঝা যায় বাকি দিনটা কেমন যাবে। কিন্তু বুধবার লাহৌরে তেমন হল না। তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতে দু’দলের লড়াই হচ্ছিল সমানে-সমানে। কিন্তু পাকিস্তানের তৃতীয় উইকেট পড়তেই একপেশে হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কের দাপটে বাবর আজমদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেল ২৬৮ রানে।
মাত্র ২০ রানে শেষ ৭ উইকেট হারাল পাকিস্তান। এর মধ্যে শেষ ৫ উইকেট পড়ল ৪ রানে। আর ৭ উইকেটে ২৬৮ থেকে মাত্র ১০ বলে ১০ উইকেটে ২৬৮ হয়ে গেল আয়োজকরা। এমন ব্যাটিং বিপর্যয় এর আগে কখনও হয়নি পাকিস্তানের।
দ্বিতীয় দিনের দুই অপরাজিত পাক ব্যাটার আবদুল্লা শফিক এবং আজহার আলি শুরুটা ভালই করেন। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা তোলেন ১৫০ রান। শফিককে ৮১ রানে আউট করেন নেথান লায়ন। নিজের বলেই ক্যাচ নিয়ে আজহারকে ৭৮ রানে সাজঘরে ফেরান কামিন্স। চার নম্বরে নেমে পাক অধিনায়ক বাবর আজম করলেন ৬৭ রান। তিনিই উইকেটের এক দিক আগলে রেখেছিলেন। অন্য প্রান্তে চলছিল কেবলই যাওয়া-আসার পর্ব। বাবর স্টার্কের শিকার হতে পাকিস্তানের রান দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২৬৮। পাকিস্তানের শেষ সাত ব্যাটারের মিলিত অবদান ২০ রান। তার মধ্যে ১৩ রান ফাওয়াদ আলমের। নৌমান আলি, হাসান আলি, নাসিম শাহ শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। খাতা খুলতে পারেননি শাহিন আফ্রিদিও।
অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার কামিন্স ৫৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। বেশি বিধ্বংসী ছিলেন অবশ্য স্টার্ক। তিনি ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিলেন। স্টার্কই পাক ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন পর পর ফাওয়াদ আলম এবং মহম্মদ রিজওয়ানকে আউট করে।
দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসের রান ১১। বাইশ গজে আছেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (৪) এবং উসমান খোয়াজা (৭)। ১৩৪ রানে এগিয়ে অজিরা। চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে হবে পাকিস্তানকে। সে দিক থেকে কিছুটা হলেও সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে কামিন্স ব্রিগেড।