সেনাবাহিনীর শিবিরে পাক ক্রিকেটারেরা। ছবি: এক্স।
এক দিন আগেই পাকিস্তানের সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক বদলেছে। দায়িত্বে ফিরেছেন বাবর আজম। সরানো হয়েছে শাহিন আফ্রিদিকে। তার মাঝেই চনমনে পাকিস্তান শিবিরের খবর প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর শিবিরে হাজির হয়ে গিয়েছেন একাধিক ক্রিকেটার। সেনাদের সঙ্গেই কঠোর অনুশীলন করছেন তাঁরা।
পাকিস্তান বোর্ডের তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেখানেই ক্রিকেটারদের বিভিন্ন ‘ড্রিল’ করতে দেখা গিয়েছে। কাকুলের আর্মি স্কুল অফ ট্রেনিংয়ে গিয়েছে পাকিস্তান দল। সেই ভিডিয়োয় শাহিন, হ্যারিস রউফ, মহম্মদ রিজ়ওয়ান, আঘা সলমন, মহম্মদ আমির এবং নাসিম শাহদের মতো জোরে বোলারদের দেখা গিয়েছে।
পাকিস্তানের ফিটনেস নিয়ে বরাবরই সমালোচনা হয়েছে। মাঠে ক্যাচ ধরা থেকে ফিল্ডিং মিস্, অনেক বিষয়েই ক্রিকেটারেরা মাঝেমাঝেই হাসির খোরাক হন। সেই জিনিস বন্ধ করতেই বিশেষ অনুশীলন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে অনুশীলন তারই অঙ্গ।
এমনিতে পাকিস্তান ক্রিকেটে বিতর্কের শেষ নেই। বরখাস্ত অধিনায়ক শাহিন আচমকাই জানিয়েছেন, পাক বোর্ডের বিবৃতিতে তাঁর মুখ দিয়ে যে কথা বলানো হয়েছে তা অসত্য। পিসিবির এক কর্তা জানিয়েছেন, অধিনায়ক পরিবর্তন নিয়ে আফ্রিদিকে বিবৃতি দেওয়ার কথা বলা হয়নি। তবু তাঁর নামে বিবৃতি প্রকাশিত হয়ে যাওয়া বিস্ময়কর। আফ্রিদির বিবৃতি দাবি করে পিসিবি জানিয়েছিল, ‘‘আমাকে যে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, তা দারুণ উপভোগ করেছি। দারুণ কিছু স্মৃতিও আছে। দলের এক জন খেলোয়াড় হিসাবে এখন আমার দায়িত্ব অধিনায়ক বাবর আজ়মের পাশে থাকা। আগেও বাবরের নেতৃত্বে খেলেছি। ওর প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। মাঠের ভিতরে এবং বাইরে সব সময় বাবরকে সাহায্য করব।’’
বিবৃতিটি প্রকাশিত হওয়ার পরই ক্ষুব্ধ আফ্রিদি জানান, ‘‘একটি শব্দও আমার নয়। বোর্ড অহেতুক পরিস্থিতি জটিল করছে। এই ধরনের ঘটনা পারস্পরিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করে।’’ এর পরই সক্রিয় হয়ে ওঠেন পাক বোর্ডের কর্তারা। আফ্রিদির ক্ষোভ সামাল দিতে তাঁর সঙ্গে কথা বলা হয়। সূত্রের খবর, আফ্রিদি সরাসরি কর্তাদের প্রশ্ন করেন নেতৃত্ব পরিবর্তনের বিষয়টি কেন তাঁকে আগে জানানো হয়নি? তাঁকে কেন সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে হবে? পিসিবি কর্তারা তেমন জুতসই জবাব দিতে পারেননি। তাঁর নাম করে কেন অসত্য বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন আফ্রিদি। বোর্ড কর্তাদের কোনও উত্তরেই সন্তুষ্ট হননি জোরে বোলার। তাই নেতৃত্ব বদল নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটে আরও অশান্তির আশঙ্কা করছেন ওয়াকিবহালেরা।