শেষ ঘণ্টায় খেলার ছবিতে একটু বদল হয়। ১৯৬ রানে আউট হয়ে যান বাবর। তার পর অল্প সময়ের ব্যবধানে আরও দু’উইকেট পড়ে যায়। জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ান রিজওয়ান। তিনিও শতরান করেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। ফলে অনেক চেষ্টা করেও ম্যাচ জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
এই জুটিই রুখে দিল অস্ট্রেলিয়াকে ফাইল চিত্র।
এক দিকে জেতার জন্য সব রকমের অস্ত্র প্রয়োগ করছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। অন্য দিকে উইকেট কামড়ে পড়ে রয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। পরে তাঁর সঙ্গে যোগ দিলেন উইকেটরক্ষক মহম্মদ রিজওয়ান। টি২০-তে পাকিস্তানের সব থেকে সফল জুটি টেস্টে দলকে হারের হাত থেকে বাঁচালেন। যে জুটি কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে সেই জুটিই ধীরে-সুস্থে, সোজা, সাবলীল ব্যাটে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সব আক্রমণ ভোঁতা করে দিল। মাত্র ৪ রানের জন্য দ্বিশতরান হাতছাড়া হল বাবরের। শতরান করলেন রিজওয়ান।
চতুর্থ দিনের শরুতে কয়েক ওভার খেলেই নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ৫০৬ রান। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে ২১ রানে ২ উইকেট পড়ে যায় তাদের। দেখে মনে হচ্ছিল প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও পাকিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থ হবে। কিন্তু তৃতীয় উইকেটের জন্য ২২৮ রানের জুটি বাঁধেন আবদুল্লা শফিক ও অধিনায়ক বাবর আজম। চতুর্থ দিনের বাকি সময়টা তাঁরা দু’জনেই খেলে দেন। শতরান করেন বাবর।
পঞ্চম দিন খেলার ফল যে কোনও দিকে যেতে পারত। তবে শুরুতেই ৯৬ রানের মাথায় শফিক আউট হয়ে যান। ফাওয়াদ আলমও রান পাননি। একটু চাপে পড়ে গেলেও নিজের স্বাভাবিক খেলা খেলছিলেন বাবর। তাঁর সঙ্গে জুটি বাঁধেন রিজওয়ান। দু’জনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। তবে রানের গতি খুব ধীরে ছিল। ফলে জয় থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছিল পাকিস্তান।
শেষ ঘণ্টায় খেলার ছবিতে একটু বদল হয়। ১৯৬ রানে আউট হয়ে যান বাবর। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে অধিনায়ক হিসাবে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়লেন বাবর। তিনি আউট হওয়ার পরে অল্প সময়ের ব্যবধানে আরও দু’উইকেট পড়ে যায়। জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ান রিজওয়ান। তিনিও শতরান করেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। ফলে অনেক চেষ্টা করেও ম্যাচ জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।