আইপিএল ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
দেশের খেলা বাদ দিয়ে বিদেশে ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি খেলা যাবে না। বাবর আজ়ম, শাহিন আফ্রিদিদের জানিয়ে দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বিশেষ করে যে সব ক্রিকেটারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি রয়েছে, তারা অনুমতি না নিয়ে অন্য দেশের লিগে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। ফলে আপাতত আইপিএলের মতো লিগে খেলার কোনও সম্ভাবনাই নেই তাঁদের।
জাতীয় দলকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। তার পর সুযোগ হলে খেলা যাবে বিদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি লিগ। এ কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের টিম ডিরেক্টর মহম্মদ হাফিজ। জোরে বোলার হ্যারিস রউফ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ় খেলতে না চাওয়ার পর কঠোর মনোভাব নিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা।
সাদা বলের ক্রিকেট খেলতেই বেশি আগ্রহী রউফ। ক্রিকেটজীবনে তিনি মাত্র একটি টেস্ট এবং ন’টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন এখনও পর্যন্ত। ৩০ বছরের জোরে বোলার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় খেলার থেকেও বেশি আগ্রহী মেলবোর্ন স্টার্সের হয়ে বিগ ব্যাশ লিগে খেলতে। সে জন্য পিসিবির কাছে অনুমতিও চেয়েছেন হ্যারিস। তাঁর এই মনোভাবে খুশি নন পাক ক্রিকেট কর্তারা।
হাফিজ বলেছেন, ‘‘সমস্ত চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের প্রথম দায়িত্ব হওয়া উচিত জাতীয় দায়িত্ব পালন। তার পরে বাকি সব কিছু। ২০ থেকে ২৫ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। তাদের উচিত সব সময় দেশের হয়ে মাঠে নামার জন্য তৈরি থাকা।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘জানি এখন অনেক বিকল্প তৈরি হয়েছে। প্রচুর লিগ খেলা হচ্ছে। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতার পর আমাদের কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হচ্ছে। কারণ এই সব লিগে খেলে অনেক সময় ক্রিকেটারেরা চোট পায়। পরে দেশের প্রয়োজনে তাদের পাওয়া যায় না। খেলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও চোট পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।’’
আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল ফল করাই এখন প্রধান লক্ষ্য পাকিস্তানের। এখন থেকেই সম্ভাব্য ক্রিকেটারদের নজরে নজরে রাখতে চাইছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা। যাতে আগামী বছরের প্রতিযোগিতায় সেরা দল পাঠানো যায়। বিদেশে লিগ খেলতে গিয়ে চোট পেয়ে কোনও ক্রিকেটার বিবেচনার বাইরে চলে যাক, তা চাইছেন না তাঁরা।