পাকিস্তান ক্রিকেট দল। —ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন হ্যারিস রউফ। পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক বাবর আজ়ম থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াসিম আক্রমের চোখে রউফ সাদা বলের ক্রিকেটে পাকিস্তানের ‘সেরা’ পেসার। ভারতের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপেও তিনি পাকিস্তানের সেরা বাজি ছিলেন। তাঁর উপরে যতটা ভরসা করা হয়েছিল, ততটা ভাল খেলতে পারেননি তিনি। কিন্তু হঠাৎ কেন অবসরের চিন্তা এসেছিল রউফের মাথায়?
ঘটনার সূত্রপাত ভারতের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপের পর। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক করা হয় ওয়াহাব রিয়াজ়কে। ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট নিযুক্ত হন মহম্মদ হাফিজ়। তাঁরা চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ়ে রউফ খেলুন। প্রথমে নাকি রউফ রাজিও হয়েছিলেন। পরে নিজের নাম সরিয়ে নেন। এই ঘটনার পরে প্রকাশ্যে রউফের সমালোচনা করেছিলেন হাফিজ় ও ওয়াহাব। তাতেই নাকি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন রউফ।
অবসরের কথা পরিবারকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন কয়েক জন সতীর্থকেও। তাঁরা সবাই রউফকে পরামর্শ দেন, তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত না নিতে। ভাবনা-চিন্তা করতে। হাফিজ় ও ওয়াহাবের সঙ্গেও নাকি রউফ কথা বলেন। তার পরে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। এই পুরো বিষয় জানিয়েছে পাকিস্তানের এক সংবাদমাধ্যম।
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে ৬২টি ম্যাচ খেলে ৮৩টি উইকেট নিয়েছেন রউফ। ৩৭টি এক দিনের ম্যাচে নিয়েছেন ৬৯টি উইকেট। সাদা বলের ক্রিকেটে তিনি যতই ভয়ঙ্কর হোন না কেন, লাল বলের ক্রিকেট খেলতে চান না রউফ। কেরিয়ারে মাত্র একটি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেখানেও ১৩ ওভার বল করার পরে চোট পেয়ে গিয়েছিলেন।
রউফের টেস্ট না খেলার প্রবণতার সমালোচনা শোনা গিয়েছেন আক্রমের মুখেও। তিনি বিশ্বকাপ চলাকালীন বলেছিলেন, ‘‘রউফ ভাল বোলার। কিন্তু যত দিন না ও লম্বা ফরম্যাটের ক্রিকেট খেলবে তত দিন ওর বোলিং উন্নত হবে না। চার ওভার বা ১০ ওভার বল করলে হবে না। ২৫-৩০ ওভার বল করতে হবে। তবেই বোলার হিসাবে রউফ আরও ভয়ঙ্কর হবে।’’