পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ছবি: আইসিসি।
প্রথম বছর আইপিএলে খেলেছিলেন পাকিস্তানের এক ঝাঁক ক্রিকেটার। শোয়েব আখতার, মহম্মদ হাফিজ, সলমন বাট, কামরান আকমল, সোহেল তনবীরেরা বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির হয়ে ভাল পারফর্মও করেছিলেন। কিন্তু তার পর আর আইপিএলে খেলার সুযোগ হয়নি পাক ক্রিকেটারদের। আইপিএলে নিষিদ্ধ পাক ক্রিকেটারেরা। তবু এই প্রতিযোগিতায় খেলতে চান সে দেশের জোরে বোলার হাসান আলি।
বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেটারই আইপিএলের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ব্যতিক্রম নন পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরাও। কিন্তু তাঁদের ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই। হাসান বলেছেন, ‘‘সব ক্রিকেটারই আইপিএল খেলতে চায়। আমিও তার বাইরে নই। সুযোগ পেলে অবশ্যই আইপিএল খেলব। আইপিএল এখন বিশ্বের অন্যতম বড় এবং সেরা লিগ। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে অবশ্যই আইপিএলে খেলতে চাইব আমি।’’
কিন্তু খেলবেন কী করে? পাকিস্তানের অন্য ক্রিকেটারদের মতো তাঁরও এটাই চিন্তা। হাসানের আশা, ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিরোধ বছরের পর বছর চলতে পারে না। এক দিন না এক দিন সব ঠিক হয়ে যাবে। আইপিএলের দরজাও আবার খুলে যাবে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের জন্য। পাক জোরে বোলারের আশা, তাঁর ক্রিকেটজীবনের মধ্যেই মিটে যাবে দু’দেশের সমস্যা। সুদিনের জন্য অপেক্ষা করতে চান তিনি।
২০০৮ সালের নভেম্বরে আজ়মল কাসভদের মুম্বই হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়। তার পর থেকেই দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সম্পর্ক নেই। বহু দলীয় প্রতিযোগিতা ছাড়াও মুখোমুখি হন না বাবর আজ়ম-বিরাট কোহলিরা। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের জন্য তার পর থেকেই বন্ধ আইপিএলের দরজা। ভারতীয় দলকেও পাকিস্তানে খেলতে পাঠায় না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।