বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
সেই অ্যাবোটাবাদ। জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার প্রাক্তন প্রধান ওসামা বিন লাদেনের জীবনের শেষ কিছু দিন পশ্চিম পাকিস্তানের এই শহরেই কেটেছিল। সেই অ্যাবোটাবাদেই প্রশিক্ষণ চলছে পাকিস্তানের ক্রিকেট দলের। তা-ও আবার সেখানকার সেনা স্কুলে।
গত বছর এশিয়া কাপ, এক দিনের বিশ্বকাপে সাফল্য পায়নি পাকিস্তান। তাই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাবর আজ়মদের তৈরি করতে সেনা স্কুলে পাঠিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্তারা। বাবরদের প্রস্তুতিতে এখন ক্রিকেট কম। সেনাদের শারীরিক এবং মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সে সবই দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। পাহাড়ে চড়া, নির্দিষ্ট দূরত্বে ভারী পাথর বয়ে নিয়ে যাওয়া, উঁচু পাঁচিল টপকানো— এমন নানা প্রশিক্ষণ চলছে পাক ক্রিকেটারদের। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সব সময় কড়া নজর রাখছেন পাক সেনার প্রশিক্ষকেরা। কয়েক দিন আগে অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরা জোরে বোলার মহম্মদ আমিরকেও পাঠানো হয়েছে সেনা স্কুলে। অ্যাবোটাবাদের সেনা স্কুলে ক্রিকেটারদের প্রশিক্ষণের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে পিসিবি।
সমাজমাধ্যমে দেওয়া ভিডিয়োয় হ্যারিস রউফ জানিয়েছেন, দু’সপ্তাহ পর থেকে বোলিং অনুশীলন শুরু করবেন। চোট সারিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন তিনি। অলরাউন্ডার সাদাব খানকে প্রশ্ন করা হয়, সেনা স্কুলে প্রস্তুতি উপভোগ করছেন? জবাবে তিনি হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘‘একদমই নয়।’’ ক্রিকেটারদের শারীরিক এবং মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি একাত্মবোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন সেনা স্কুলের প্রশিক্ষকেরা।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি বলেছেন, ‘‘আমাদের ক্রিকেটারদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসার জন্য পাকিস্তান সেনাকে অভিনন্দন। ক্রিকেটারদের শারীরিক সক্ষমতার মান অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, একটা শৃঙ্খলাবোধ তৈরি হবে ছেলেদের মধ্যে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় এবং আমেরিকার মাটিতে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আগে ক্রিকেটারেরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে।’’
বাবরদের সেনা স্কুলে পাঠিয়ে পিসিবি চেয়ারম্যান খুশি হলেও একাধিক ক্রিকেটার অসন্তুষ্ট। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁরা ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। ক্রিকেটীয় অনুশীলনের পরিবর্তে সেনা প্রশিক্ষণ ২২ গজের লড়াইয়ে কতটা কাজে আসবে, তা নিয়ে সন্দিহান তাঁরা।