বাবরের চিন্তা আরও বাড়ল। —ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তিনি শেষ পর্যন্ত থাকলে ফল পাল্টে যেত কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি বল করতে না পারায় কিছুটা সুবিধা যে ইংল্যান্ড পেয়েছিল তা বলাই যায়। চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন আফ্রিদি। সেই চোট এখন আরও বড় আকার নিয়েছে। আগামী বছর এপ্রিল মাস পর্যন্ত খেলতে পারবেন না পাকিস্তানের পেসার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে যায় পাকিস্তান, সেই দলের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ় খেলবে তারা। ঘরের মাঠে প্রথমে ইংল্যান্ড এবং তার পর নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলার কথা পাকিস্তানের। কিন্তু চোটের কারণে সেই সব সিরিজ়ে পাকিস্তান পাবে না আফ্রিদিকে। হাঁটুর চোটের জন্য বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। শনিবার আফ্রিদিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আপেন্ডিক্সের অস্ত্রোপচারের জন্য। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়, আফ্রিদির অস্ত্রোপচার হয়েছে অ্যাপেন্ডিক্স বাদ দেওয়া হয়েছে। ছ’সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু এই ছ’সপ্তাহ বিশ্রামের পরেই খেলতে নামতে পারবেন না আফ্রিদি। তাঁকে আরও সময় দিতে হবে হাঁটুর চোট সারানোর জন্য।
ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে পাকিস্তান। সেখানে আফ্রিদির যে খেলা হচ্ছে না তা নিশ্চিত। জানুয়ারিতে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধেও নামতে পারবেন না তিনি। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে যে, আফ্রিদিকে নিয়ে কোনও রকম তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় তারা। এপ্রিল মাস পর্যন্ত খেলতে পারবেন না তিনি। বোর্ডের এক কর্তা বলেন, “পাকিস্তান সুপার লিগে আফ্রিদি খেলবে কি না সেটা নির্ভর করবে ওর সেরে ওঠার উপর। সুপার লিগে আফ্রিদিকে কী ভাবে ওর দল ব্যবহার করবে সেটা সেই দলের সিদ্ধান্ত।”
এ বারের বিশ্বকাপের আগে চোট নিয়ে ভুগছিলেন আফ্রিদি। খেলতে পারেননি এশিয়া কাপে। বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে ১১টি উইকেট নেন তিনি। এমন পেসারের দলে না থাকায় পাকিস্তানের জন্য একে বারেই স্বস্তির নয়।