—ফাইল চিত্র
শ্রীলঙ্কার মাঠে বাবর আজম রবিবার দেখালেন কী ভাবে ব্যাট করা উচিত। তিনি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন, পাকিস্তানের তখন ২১ রানে দুই উইকেট। বাবর যখন সাজঘরে ফিরলেন, পাকিস্তান তুলেছে ২১৮ রান। ১১৯ রানের ইনিংস খেললেন বাবর। টপকে গেলেন বিরাট কোহলীকে।
পাকিস্তানের শেষ ১০৬ রান এসেছে নবম এবং দশম উইকেটের জুটিতে। সেই জুটির এক দিকে ছিলেন বাবর আজম, অন্য দিকে হাসান আলি এবং নাসিম শাহ। এই দুই বোলারকে নিয়ে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে বাবর যোগ করলেন ১০৬ রান! পাকিস্তান তুলল ২১৮ রান। এর মধ্যে হাসান (১৭) এবং নাসিম (৫) দু’জনে করেন ২২ রান। শতরানের পথে বাবর টপকে গেলেন বিরাটকে। ২২৮টি ইনিংস খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের গণ্ডি টপকালেন বাবর। বিরাট নিয়েছিলেন ২৩২টি ইনিংস।
পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে সব থেকে কম ইনিংস খেলে ১০ হাজার রানের গণ্ডি পার করলেন বাবর। জাভেদ মিঁয়াদাদকে টপকে গেলেন তিনি। ১০ হাজার করতে মিঁয়াদাদ নিয়েছিলেন ২৪৮টি ইনিংস। সারা বিশ্বে বাবর পঞ্চম স্থানে। তাঁর থেকে কম ইনিংস খেলে ১০ হাজার রান করেছেন ভিভ রিচার্ডস (২০৬), হাসিম আমলা (২১৭), ব্রায়ান লারা (২২০) এবং জো রুট (২২২)।
২০১৫ সালে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হয় বাবরের। দেশের হয়ে ৭৪টি টি-টোয়েন্টি, ৮৯টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৪০টি টেস্ট খেলেছেন বাবর। ৪১তম টেস্টটি খেলছেন তিনি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ২৫টি শতরান হয়ে গেল তাঁর। টেস্টে এটি তাঁর সপ্তম শতরান।
গলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ২৪৪ বলে ১১৯ রান করলেন বাবর। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১১টি চার এবং দু’টি ছক্কা দিয়ে। শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে তোলে ২২২ রান। জবাবে বাবরের শতরানে ভর করে পাকিস্তান তুলল ২১৮ রান। দ্বিতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৩৬ রানে এক উইকেট হারিয়েছে। পাকিস্তানের থেকে তাঁরা এগিয়ে রয়েছে ৪০ রানে।