lalit modi

Lalit Modi: হিরের চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছি, ঘুষ নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি কখনও, ক্ষোভ উগরে দিলেন ললিত

কী ভাবে একার চেষ্টায় আইপিএল শুরু করেছিলেন জানিয়েছেন ললিত। বংশপরিচয় মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ঘুষ বা কোনও সুবিধা নেওয়ার প্রয়োজন তাঁর হয় না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২২ ১৬:৩৮
Share:

ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ললিত। ফাইল ছবি।

সুস্মিতা সেনের সঙ্গে মলদ্বীপে ছুটি কাটানো এবং নতুন সম্পর্কের ঘোষণা করায় আবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন ললিত মোদী। আইপিএলের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের জীবনের নানা দিক নিয়ে চলছে আলোচনা। প্রসঙ্গত উঠে আসছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা হিসাবেও তাঁর কর্মকাণ্ড।

Advertisement

আইপিএল নিয়ে নেটমাধ্যমে নিজের বক্তব্য জানিয়েছেন ললিত। কী ভাবে তিনি একক প্রচেষ্টায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে আজকের বৈভবের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন তাও জানিয়েছেন। ললিতের অভিযোগ, তাঁকে নিয়ে অকারণ কিছু ভুয়ো খবর প্রচার করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশ। মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০০৮ সালে আইপিএল শুরু সময়ে বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা চলছিল। তার মধ্যেই এই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা শুরু করেছিলেন। প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘আমি দেশকে যা দিয়েছি, তেমন আর কে দিতে পেরেছে? এক জনের নাম বলুন আপনারা।’

নেটমাধ্যমে ললিত লিখেছেন, ‘এখন যাঁরা আইপিএলের সাফল্যে হাসছেন, তাঁরা ভাল করেই জানেন আমি একা হাতেই সব করেছিলাম। বিসিসিআইয়ের আর কেউ এগিয়ে আসেননি। অথচ যখন দিনের খরচ বাবদ ৫০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা) করে দেওয়া শুরু হয়, তখন অনেকেই এগিয়ে আসেন।’

Advertisement

ক্ষোভ প্রকাশ করে ললিত আরও লিখেছেন, ‘আমি যে প্রতিযোগিতাটা তৈরি করেছি, সেটাই এখন গোটা দেশকে একত্রিত করে। সকলেই সেটা উপভোগ করে। অনেকেই আমাকে পলাতক বলে ডাকেন। তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। আমি হিরের চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছি। কখনও ঘুষ নিইনি। নেওয়ার প্রয়োজনও হয়নি কখনও। আপনারা হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছেন, আমি প্রয়াত রায়বাহাদুর গুজরমল মোদীর বড় নাতি। আমি ক্রিকেটকে টাকা দিয়েছি। কোনও টাকা নিইনি। কখনও সাধারণ মানুষের টাকা নিইনি। কখনও সরকারি সুবিধাও নিইনি।’

সমালোচকদের কটাক্ষ করার পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য কত টাকা এনেছেন, তাও নেটমাধ্যমে লিখেছেন ললিত। বিসিসিআইয়ের আর্থিক সমৃদ্ধি নিয়ে লিখেছেন, ‘যখন বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম, তখন ব্যাঙ্কে ৪০ কোটি টাকা ছিল। যখন আমাকে নিষিদ্ধ করা হল তখন ব্যাঙ্কে ৪৭ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা ছিল বোর্ডের। ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর প্রথম বোর্ডে যাই। সে দিন আমার জন্মদিন ছিল।’

ললিত বোঝাতে চেয়েছেন, কত কম সময়ের মধ্যে বিসিসিআইয়ের আর্থিক সঙ্গতিকে শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন। এর পরেই কটাক্ষ করেছেন তৎকালীন বোর্ড কর্তাদের। লিখেছেন, ‘ওই কাজে আমাকে এক জন জোকারও সাহাষ্য করেননি। ওঁরা তো জানতেনই না, কোথা থেকে কী ভাবে কাজ শুরু করতে হবে। এখন যে সব ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে, সেগুলো লজ্জাজনক। এখন সকলেই নিজেদের নায়ক ভাবছেন। ওঁদের আদৌ কোনও সততা আছে?’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement