বাবর আজ়ম। ছবি: পিটিআই।
বিশ্বকাপের লড়াইয়ে ভারতের কাছে ০-৭ ব্যবধানে পিছিয়ে পাকিস্তান। এই চাপ নিয়েই শনিবার আমদাবাদে রোহিত শর্মাদের মুখোমুখি হবেন বাবর আজ়মেরা। তবে অন্য একটি বিষয় বেশি চাপে রেখেছে পাকিস্তানের অধিনায়ককে।
শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাবর। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁকে সামলাতে হয়েছে একের পর এক প্রশ্ন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ০-৭ ব্যবধানে পিছিয়ে আপনারা। এটা কতটা চাপের? জবাবে বাবর বলেছেন, ‘‘চাপ খুবই আছে। তবে সেটা টিকিটের। প্রচুর মানুষ টিকিট চাইছেন। অনেকে ফোন করছেন। আমরা অবশ্য বাইরের এই চাপ নিচ্ছি না। আগে আমরা ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারিনি। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কিন্তু আমরা পেরেছিলাম। আমরাই প্রথম পেরেছিলাম। বিশ্বাস করি শনিবারও ভারতের বিরুদ্ধে আমাদের পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগাতে পারব। আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘অনেকেই রেকর্ডের কথা বলছেন। রেকর্ড কিন্তু ভাঙার জন্যই তৈরি হয়। আমরাও চেষ্টা করব রেকর্ড বদলানোর। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে অনেকগুলো বিষয় থাকে। নির্দিষ্ট দিনে যারা ভাল পারফরম্যান্স করতে পারবে, তাদের জেতার সুযোগ বেশি থাকবে। আমার সতীর্থেরা এই দিনটার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। আমি নিশ্চিত ওরা কিছু একটা করবেই।’’
বাবর গুরুত্ব দিচ্ছেন টসকে। পাক অধিনায়কের মতে, শনিবারের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে টস। তিনি বলেছেন, ‘‘টসটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে উইকেটের চরিত্র কিছুটা বদলে যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর শিশিরও একটা চিন্তার কারণ। বৃহস্পতিবার রাতে ভালই শিশির পড়েছে এখানে। তাই টসের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।’’
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ সব সময় আলাদা। এই ম্যাচে হারলে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। যা অজানা নয় বাবরের। তাঁকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর দাবিও উঠতে পারে। সে সব নিয়ে ভাবছেন না বাবর। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় না এই একটা ম্যাচের জন্য আমার অধিনায়কত্ব বিপদের মুখে পড়তে পারে। এমন কখনও মনেও হয়নি আমার। আমি যেটা পারি, সেটাই করার চেষ্টা করি। তা ছাড়া নির্দিষ্ট কোনও ম্যাচের কথা ভেবে আমাকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়নি। আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব। যেমন ২০১৯ সালেও করেছিলাম। নিজেদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত করা এবং ম্যাচটাকে উপভোগ করার চেষ্টা করব আমরা। ক্রিকেটের প্রাথমিক বিষয়গুলো ঠিক মতো করতে হবে আমাদের।’’
ভারতকে নিয়ে খুব একটা ভাবতে চাইছেন না বাবর। তিনি শুধু নিজেদের ক্রিকেট নিয়ে ভাবছেন। পাক অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে এই ধরনের ম্যাচে মানসিকতার একটা ভূমিকা রয়েছে। এটা বড় ম্যাচ। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আবহ থাকে। এটাই সকলের কাছে নিজের সেরা দেওয়ার সুযোগ। আমরা আমাদের ভালগুলো বজায় রাখতে চাই। আমদাবাদের স্টেডিয়ামে লক্ষাধিক মানুষ আমাদের খেলা দেখতে আসবেন। এত মানুষের সামনে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরার সুযোগ আর কোথায় হবে?’’
গত বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার ১৪০ রানের ইনিংসে ভর করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। আফগানিস্তান ম্যাচেই ভারত অধিনায়কের আগ্রাসী মেজাজ দেখা গিয়েছে।