উল্লাস পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের। ছবি: পিটিআই
বিশ্বকাপে চার ম্যাচ হারের পরে অবশেষে জিতল পাকিস্তান। ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশকে ব্যাটে-বলে হারালেন বাবর আজ়মেরা। গোটা ম্যাচ জুড়ে দাপট দেখাল পাকিস্তান। একপেশে ম্যাচ জিতল তারা। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এল পাকিস্তান। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লড়াইয়ে এখনও টিকে থাকলেন বাবরেরা।
ইডেনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু শুরুটা খুব খারাপ হয় তাদের। প্রথম তিন ওভারেই দুই উইকেট পড়ে যায় তাদের। নতুন বলে দাপট দেখান শাহিন শাহ আফ্রিদি। ইডেনের উইকেট থেকে সাহায্য পাচ্ছিলেন তিনি। তিন নম্বরে নামা মুশফিকুর রহিমও রান পাননি।
৩ উইকেট পড়ার পরে বাংলাদেশের ইনিংসকে টানেন লিটন দাস ও মাহমুদুল্লা। ভাল ব্যাট করছিলেন তাঁরা। দলের রানকে ১০০ পার করান দুই ব্যাটার। দু’জনেই নিজেদের অর্ধশতরানের দিকে এগোচ্ছিলেন। ঠিক তখনই ৪৫ রানের মাথায় ইফতিখার আহমেদের একটি নিরীহ বলে উইকেট দিয়ে আসেন লিটন।
মাহমুদুল্লা অর্ধশতরান করলেও বেশি ক্ষণ খেলতে পারেননি। শাহিনের দ্বিতীয় স্পেলে ৫৬ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। দলের রানকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল অধিনায়ক শাকিব আল হাসানের কাঁধে। কিন্তু তাঁকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, ফর্মে নেই শাকিব। ৪৩ রানের মাথায় হ্যারিস রউফের বাউন্সারে আউট হন শাকিব। মেহেদি হাসান মিরাজ করেন ২৫ রান।
দ্বিতীয় স্পেলে জ্বলে উঠলেন মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। তাঁর রিভার্স সুইং বুঝতে না পেরে আউট হলেন বাংলাদেশের নীচের সারির ব্যাটারেরা। শেষ পর্যন্ত ৪৫.১ ওভারে ২০৪ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।
২০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্রুত ব্যাটিং শুরু করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জমান ও আবদুল্লা শফিক। অনেক দিন পরে পাকিস্তান দলে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান ফখর। দুই ব্যাটার শুরু থেকেই ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে খেলছিলেন। বাংলাদেশের বোলারেরা তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারছিলেন না। পাকিস্তানের দুই ওপেনার ১২৮ রান যোগ করেন মাত্র ২১ ওভারে।
পাকিস্তানের খেলা দেখে বোঝা যাচ্ছিল, নেট রানরেট বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। দুই ওপেনারই অর্ধশতরান করেন। পাকিস্তানকে প্রথম ধাক্কা দেন মেহেদি। ৬৮ রানের মাথায় শফিককে আউট করেন তিনি। তত ক্ষণে অবশ্যে খেলা পাকিস্তানের হাতে।
ফখর সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন। একের পর এক বড় শট খেলছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি বাবর। ৯ রান করে আউট হয়ে যান পাক অধিনায়ক। দ্রুত রান করতে গিয়ে ৮১ রানের মাথায় আউট হন ফখর। তাতে অবশ্য পাকিস্তানের জয় আটকায়নি। বাকি কাজটি করেন মহম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষা দেখে বোঝা যাচ্ছিল, অনেক আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন তারা। শেষ পর্যন্ত ১০৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। ইডেন থেকে হাসিমুখে বার হন বাবরেরা।