রিজওয়ান-বাবরের ব্যাটেই জয় এল পাকিস্তানের। ছবি রয়টার্স
ইংল্যান্ডকে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হারিয়ে সিরিজ়ে সমতা ফেরাল পাকিস্তান। রবিবার হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে তিন রানে হারাল তারা। ব্যাট হাতে মহম্মদ রিজওয়ানের ইনিংসই পার্থক্য গড়ে দিল দু’দলের মধ্যে। পাকিস্তানের বোলাররাও ভাল খেললেন। করাচিতে এটাই ছিল সিরিজ়ের শেষ ম্যাচ। বাকি তিন ম্যাচ হবে লাহোরে।
রবিবার টসে জিতে পাকিস্তানের ব্যাট করতে পাঠান ইংরেজ অধিনায়ক মইন আলি। সেই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে যায়। টি-টোয়েন্টিতে বাবর এবং রিজওয়ান এক বার উইকেটে জমে গেলে তাঁদের আউট করা কঠিন। এ দিনও সেটাই হল। প্রথম উইকেটেই উঠে গেল ৯৭ রান। বাবর একটা দিক ধরে রেখেছিলেন। উল্টো দিক থেকে আক্রমণ চালিয়ে যান রিজওয়ান। ১২তম ওভারের শেষ বলে ৩৬ রানে আউট হয়ে যান বাবর। রিসি টপলির বলে তিনি ক্যাচ দেন অ্যালেক্স হেলসের হাতে।
পাকিস্তানের যে রোগ গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে রয়েছে, সেটা এখনও অব্যাহত। বাবর-রিজওয়ানের কেউ আউট হওয়ার পরেই রানের গতি কমে যায়। এ দিনও বাবর ফিরে যাওয়ার পর পাকিস্তানের রানের গতি কমল। এক দিক থেকে রিজওয়ান আক্রমণ চালিয়ে গেলেও, উল্টো দিকে শান মাসুদ ব্যাটে-বলে করতে পারছিলেন না। ১৯তম ওভারে ব্যক্তিগত ৮৮ রানের মাথায় ফিরে যান রিজওয়ান। শেষ দিকে আসিফ আলির জোড়া ছক্কায় তবু লড়াই করার জায়গায় পৌঁছয় পাকিস্তান। নির্ধারিত ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তোলে তারা।
বল হাতেও ইংল্যান্ডকে শুরুতেই ধাক্কা দেয় পাকিস্তান। প্রথম ওভারেই ফিরে যান ফিল সল্ট। পরের ওভারে হেলস এবং উইল জ্যাকসকে তুলে নেন মহম্মদ হাসনাইন। আগের ম্যাচে যাঁরা ইংরেজদের বাঁচিয়েছিলেন, সেই বেন ডাকেট এবং হ্যারি ব্রুক এ দিনও রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ান। ডাকেট (৩৩) এবং মইন আলি (২৯) ফিরতেই ইংরেজদের জয়ের আশা অনেকটা কমে যায়। তবু শেষ দিকে মরিয়া একটা লড়াই দিয়েছিলেন লিয়াম ডসন। একটা সময় মনে হচ্ছিল, জিতে যেতে পারে ইংল্যান্ড। পাঁচটি চার এবং একটি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ৩৪ রান করেন ডসন। ১৯তম ওভারে তাঁকে তুলে নেন হ্যারিস রউফ। লক্ষ্য কম থাকা সত্ত্বেও বাকিরা দলকে জেতাতে পারেননি।