মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
মহম্মদ শামি কবে অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন তা নিয়ে অনেক দিন ধরে জল্পনা চলছে। অবশেষে জানা গিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই সে দেশে গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। এখন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি খেলছেন শামি। সেই প্রতিযোগিতা শেষ হলেই অস্ট্রেলিয়ায় যাবেন বাংলার পেসার। তার আগে তাঁর কিট অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বোর্ডের এক আধিকারিক বলেছেন, “শামির কিট ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া চলে গিয়েছে। ভিসাও তৈরি আছে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি শেষ হলেই শামি অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে। শেষ দুই টেস্টের জন্য ওকে ভারতীয় দল পাবে।”
চোট সারিয়ে ফিরেছেন শামি। তাই তাঁকে নিয়ে তাড়াহুড়ো করেনি ভারতীয় বোর্ড। শামির উপর নজর রেখেছেন নির্বাচকেরা। বাংলার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে লাল বল ও মুস্তাক আলিতে সাদা বলে খেলছেন শামি। পাশাপাশি বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিকে ফিটনেস পরীক্ষাও দিচ্ছেন শামি। ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করলেই শামি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার নো-অবজেকশন শংসাপত্র পেয়ে যাবেন।
বাংলার হয়ে খেললেও শামির দেখভালের জন্য রাজকোটে ছিলেন বিসিসিআইয়ের ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান নিতিন পটেল, এনসিএর ট্রেনার নিশান্ত বোরদোলোই এবং অন্যতম জাতীয় নির্বাচক শিবসুন্দর দাস। দীর্ঘ দিন খেলার মধ্যে না থাকায় শামির ওজন কিছুটা বেড়েছে। তাঁকে ওজন কমিয়ে ফিটনেস বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বাংলার হয়ে খেলা আটটি ম্যাচে শামির ফিটনেস খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। এক বিসিসিআই কর্তা বলেছেন, ‘‘ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য শামি বেঙ্গালুরু গিয়েছে। আমরা এনসিএর রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। ঘরোয়া ক্রিকেটের কয়েকটা ম্যাচ খেলেছে। শামিকে দেখে আপাত ভাবে ভালই মনে হয়েছে সকলের। আমরা এনসিএর ফিটনেস সংক্রান্ত শংসাপত্রের জন্য অপেক্ষা করছি।’’
পার্থে ভারত জিতলেও অ্যাডিলেডে ভারতের বোলিংকে সাধারণ মানের দেখিয়েছে। যশপ্রীত বুমরা বাদে কেউ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের চাপে রাখতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন রবি শাস্ত্রী। শামির সে দেশে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মহম্মদ সিরাজ ও হর্ষিত রানার তুলনায় তিনি বেশি কার্যকরী হতে পারেন। এখন দেখার মুস্তাক আলি শেষে কবে অস্ট্রেলিয়ার বিমান ধরেন শামি।