ভারতের টেস্ট দল। — ফাইল চিত্র।
রবিবার নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে তৃতীয় টেস্টেও হেরে গিয়ে সিরিজ়ে চুনকাম হয়েছে ভারত। একটি ম্যাচও জিততে পারেনি তারা। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে এত খারাপ দিন খুব বেশি আসেনি। দেশের মাটিতে রোহিত শর্মাদের ব্যর্থতা তৈরি করেছে বেশ কিছু নজির।
১) তিন বা তার বেশি ম্যাচের টেস্ট সিরিজ়ে এই প্রথম চুনকাম হল ভারত। এর আগে ঘরের মাঠে দু’বার সিরিজ়ের একটি ম্যাচেও জিততে পারেনি তারা। ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ০-২ এবং ১৯৮০-তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ০-১। ১৯৮৩ সালের পর এই প্রথম ভারত একটি সিরিজ়ের তিনটি ম্যাচ হারল।
২) দেশে কোনও টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ২০০ বা তার কম রান তাড়া করতে নেমে এই প্রথম হারল ভারত। এর আগে ১৯৮৭-তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে ২২১ তাড়া করে জিততে পারেননি। সেটাই সবচেয়ে কম লক্ষ্য ছিল। ২০০ বা তার কম রান তাড়া করে ভারত জিতেছে ৩১ বার।
৩) নিউ জ়িল্যান্ড প্রথম বার কোনও টেস্ট সিরিজ়ের তিনটি ম্যাচে জিতল।
৪) দেশে চলতি মরসুমে দশটি টেস্টে চারটিতে হারল ভারত, যা যুগ্ম সর্বোচ্চ। ১৯৬৯ সালে শেষ বার এই ঘটনা ঘটেছিল। অধিনায়ক হিসাবে দেশে পাঁচটি টেস্ট হারলেন রোহিত। সর্বোচ্চ মনসুর আলি খান পতৌদির ৯টি টেস্টে হার। তার মধ্যে চারটি ১৯৬৯ সালে।
৫) ওয়াংখেড়েতে দু’টি টেস্টে ২৫টি উইকেট নিলেন অজাজ পটেল। ভারতের নির্দিষ্ট একটি মাঠে কোনও বিদেশি বোলারের সেরা পারফরম্যান্স। আগের নজির ছিল ইয়ান বথামের ২২টি। সেটাও ওয়াংখেড়েতে।
৬) রবিবার ৭.১ ওভারে পঞ্চম উইকেট হারায় ভারত। ভারতের টেস্ট ইতিহাসে কোনও ইনিংসে সবচেয়ে দ্রুত পাঁচটি উইকেটের পতন। শেষ বার সবচেয়ে দ্রুত পাঁচ উইকেট পড়েছিল ১৯৯৯ সালে মোহালিতে এই নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধেই। সেটি ছিল ৮.২ ওভারে।
৭) দেশের মাটিতে দশটি ইনিংসে রোহিত শর্মার ব্যাটিং গড় ১৩.৩। দেশের মাটিতে সব দেশের অধিনায়ক মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন গড়। সবচেয়ে কম ইংল্যান্ডের নাসের হুসেনের ১০.২২। ২০০০ সালে ছ’টি টেস্টের পর এই গড় ছিল তাঁর।