বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
বাবর আজ়মদের ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহ নেই সে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলির। সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করতে সমস্যা পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ন্যূনতম মূল্যের প্রায় অর্ধেক দাম চেয়েও টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে আগ্রহী করতে পারছেন না পিসিবি কর্তারা।
অগস্ট ২০২৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ পর্যন্ত এই সময়ের জন্য টেলিভিশন সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছে পিসিবি। ন্যূনতম বিক্রয়মূল্য রাখা হয়েছিল ৩২০ কোটি পাকিস্তানি টাকা (প্রায় ৯৭ কোটি টাকা)। কিন্তু এই টাকায় পাকিস্তান ক্রিকেটের সম্প্রচার স্বত্ব কিনতে রাজি হয়নি কোনও টেলিভিশন সংস্থা। হতাশ পিসিবি কর্তারা টেলিভিশন কর্তৃপক্ষদের আকৃষ্ট করতে পরে ন্যূনতম মূল্য কমিয়ে করেছে ১৭২ কোটি পাকিস্তানি টাকা (প্রায় ৫২ কোটি টাকা)। ন্যূনতম মূল্য প্রায় অর্ধেক করলেও তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
পিসিবির এক কর্তা বলেছেন, ‘‘২০২১ সালের অগস্ট থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রির সময় ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। ন্যূনতম মূল্যের প্রায় দ্বিগুণ দামে স্বত্ব বিক্রি হয়েছিল।’’ এ বার টেলিভিশন চ্যানেলগুলির অনাগ্রহ নিয়ে তিনি মন্তব্য করেননি। অথচ কিছু দিন আগে পিসিবি ২৮ মাসের জন্য পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে ভাল দাম পেয়েছে। অগস্ট ২০২৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬ এই সময় দেশের মাটিতে ১১টি টেস্ট, ২৬টি এক দিনের ম্যাচ এবং ২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা পাকিস্তানের। এক দিনের ক্রিকেটের মধ্যে রয়েছে দু’টি ত্রিদেশীয় প্রতিযোগিতা।
পিসিবি সূত্রে খবর, বাবরদের খেলা দেখাতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি কোনও বিদেশি ক্রীড়া সম্প্রচার সংস্থা। শুধু তাই নয়, সে দেশের সরকারি চ্যানেল পাকিস্তান টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ ১৬০ কোটি পাকিস্তানি টাকার (ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৪৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা) বিনিময়ে সম্প্রচার স্বত্ব কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। তাতে খুশি নন পিসিবি কর্তারা।
সমস্যা আরও আছে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ় খেলতে যাওয়ার কথা ইংল্যান্ডের। এই সিরিজ় সম্প্রচার করতে আগ্রহ দেখায়নি ইংল্যান্ডের কোনও ক্রীড়া সম্প্রচার সংস্থা। এত দিন যে সংস্থা পাকিস্তানের মাটিতে ইংল্যান্ডের খেলা সম্প্রচার করত, তারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সব মিলিয়ে সম্প্রচার স্বত্ব নিয়ে বেশ চাপে পিসিবি। একের পর এক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাবরদের ব্যর্থতায় ক্রীড়া সম্প্রচার সংস্থাগুলি আগ্রহ হারিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।