খেলা শুরুর আগে কোচ অমল মজুমদার (ডান দিকে) ও স্মৃতি মন্ধানার (মাঝে) সঙ্গে পরিকল্পনায় ব্যস্ত অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর। ছবি: পিটিআই
২০১৪ সালের পর আবার দেশের মাটিতে টেস্ট খেলতে নেমেছে ভারতের মহিলা দল। প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। এই টেস্টের জন্য ভারতের যে প্রাথমিক দল ঘোষণা করা হয়েছিল সেখানে ছিলেন তিন জন বাঙালি ক্রিকেটার। কিন্তু প্রখম একাদশে তাঁদের কেউ জায়গা পাননি। তিন জনই ব্রাত্য থেকেছেন।
হরমনপ্রীত কৌরদের প্রাথমিক দলে যে তিন বাঙালি ছিলেন তাঁরা হলেন রিচা ঘোষ, তিতাস সাধু ও সাইকা ইশাক। তার মধ্যে রিচা বেশ কিছু দিন ধরে ভারতীয় দলে নিয়মিত মুখ। সাদা বলের ক্রিকেটে উইকেটের পিছনে দেখা যায় তাঁকে। মারকুটে ব্যাটার হিসাবেও সুনাম আছে তাঁর। সাদা বলের ক্রিকেটে নিয়মিত হলেও লাল বলের ক্রিকেটে জায়গা হয়নি রিচার। বদলে উইকেটরক্ষক হিসাবে নেওয়া হয়েছে যস্তিকা ভাটিয়াকে।
তুলনায় তিতাস ও সাইকা নতুন। তিতাস অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভাল খেলায় ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন। অন্য দিকে মহিলাদের আইপিএলে নজর কেড়ে দলে ঢুকেছেন সাইকা। কিন্তু এখনও প্রথম একাদশে জায়গা করতে পারেননি তাঁরা।
বাংলা থেকে অবশ্য এক জন ক্রিকেটার রয়েছেন দলে। তিনি দীপ্তি শর্মা। বাঙালি না হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়ে খেলেন দীপ্তি। তিনি এই দলের বড় ভরসা। তাই তিনি যে দলে থাকবেন, তা নিশ্চিত ছিল।
শেষ বার ২০১৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে টেস্ট খেলেছিল ভারত। সেই দলে বাঙালি হিসাবে ছিলেন ঝুলন গোস্বামী। বিদেশের মাটিতে শেষ বার ২০২১ সালে টেস্ট খেলেছিল ভারত। সেই দলেও ছিলেন ঝুলন। অর্থাৎ, ভারতের মহিলাদের ক্রিকেটে শেষ বাঙালি হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ঝুলন। তার পরে আর জায়গা হয়নি কারও।