বিশ্বকাপে নিউ জ়িল্যান্ড দল। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি ভারত এবং নিউ জ়িল্যান্ড। সেই ম্যাচে কেন উইলিয়ামসনের দল রোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে খেলবেন মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ের মাঠে। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপেও এই দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল খেলেছিল। যদিও সেই দুই দলের অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। বুধবার ভারতের বিরুদ্ধে কোন এগারো জন ক্রিকেটারকে দেখা যাবে?
ডেভন কনওয়ে: নিউ জ়িল্যান্ডের এই ওপেনার এ বারের বিশ্বকাপে ফর্মে রয়েছেন। একটি শতরান করেছেন। ৯ ম্যাচে তিনি করেছেন ৩৫৯ রান। গড় ৪৪.৮৭। তিনি কিউইদের যে শুরুটা দিচ্ছেন, সেটাই মিডল অর্ডারের ব্যাটারেরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই কনওয়েকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নামবে না নিউ জ়িল্যান্ড।
রাচিন রবীন্দ্র: বিশ্বকাপ শুরুর আগে কেউ কল্পনাও করেননি যে ব্যাটার রাচিন ঝড় তুলবেন। তরুণ ক্রিকেটার এ বারেই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছেন। তিনটি শতরান করেছেন এ বারের প্রতিযোগিতায়। ৯ ম্যাচে করেছেন ৫৬৫ রান। অভিষেক বিশ্বকাপে যেটা সর্বোচ্চ। রাচিন বলও করতে পারেন। এ বারের বিশ্বকাপে পাঁচটি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। রাচিনকে বাদ দেওয়ার তাই কোনও প্রশ্নই নেই।
কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক): চোটের কারণে প্রথম ম্যাচের পর খেলতে পারছিলেন না উইলিয়ামসন। কিন্তু শেষ দু’টি ম্যাচে মাঠে ফিরেছেন তিনি। চোটের কারণে বাইরে বসলেও ফর্মে রয়েছেন কিউই অধিনায়ক। ৩ ম্যাচে ১৮৭ রান করেছেন তিনি। তাঁর গড় ৯৩.৫০। তিন নম্বরে নেমে তাই ভারতকে বেগ দিতে পারেন উইলিয়ামসন।
ড্যারিল মিচেল: ধারাবাহিক ভাবে রান করেছেন মিচেলও। তিনি ৯ ম্যাচে ৪১৮ রান করেছেন। তাঁর গড় ৫৯.৭১। একটি শতরান এবং দু’টি অর্ধশতরান করেছেন মিচেল। প্রয়োজনে বড় শট খেলতে পারেন তিনি। আবার ইনিংস গড়তেও পারেন।
টম লাথাম (উইকেটরক্ষক): উইলিয়ামসনের অবর্তমানে নেতৃত্ব দেন লাথাম। দলের প্রধান উইকেটরক্ষক। পরের দিকে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশি রান করার সুযোগ হয় না তাঁর। এ বারের বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে করেছেন ১৫৫ রান। কিন্তু তাঁকে বাদ দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। লাথাম দলের অন্যতম বড় ভরসা।
গ্লেন ফিলিপ্স: ৯ ম্যাচে ২৪৪ রান করেছেন ফিলিপ্স। তাঁর স্ট্রাইক রেট ১০০-র উপরে। শেষ দিকে রানের গতি বৃদ্ধি করার উপযোগী ক্রিকেটার। তাই ফিলিপ্সকেও দেখা যেতে পারে সেমিফাইনালে।
লকি ফার্গুসন: অলরাউন্ডার হিসাবে সেমিফাইনালে সুযোগ পেতে পারেন ফার্গুসন। আইপিএলে নিয়মিত খেলেন তিনি। ভারতের মাঠ তাঁর কাছে পরিচিত। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তাই খেলতে দেখা যেতে পারে তাঁকে। দলে জিমি নিশামও রয়েছেন, তবে ফার্গুসনের উপরেই বেশি ভরসা করেন উইলিয়ামসনেরা। কারণ বল হাতে ১০টি উইকেটও রয়েছে তাঁর।
মিচেল স্যান্টনার: দলের প্রধান স্পিনার স্যান্টনার। প্রয়োজনে ব্যাটও করতে পারেন। এ বারের বিশ্বকাপে তাঁকে ব্যাট হাতে তেমনটা প্রয়োজন হয়নি ভারতের। বল হাতে তিনি ১৬টি উইকেট নিয়েছেন। স্যান্টনারই দলের সর্বাধিক উইকেটশিকারি। তাই সেমিফাইনালে তিনি অবশ্যই থাকছেন।
ট্রেন্ট বোল্ট: এ বারের বিশ্বকাপে নিউ জ়িল্যান্ডের হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট নেওয়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বোল্ট। বাঁহাতি কিউই পেসার ১৩টি উইকেট নিয়েছেন। তবে ৪১৮ রান দিয়েছেন। সেমিফাইনালে সেটা করলে চলবে না। তবে বোল্ট খেলবেন।
টিম সাউদি: অভিজ্ঞ পেসার এখন সুস্থ। তাই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলবেন তিনি। তিনটি ম্যাচে চার উইকেট নেওয়া সাউদি এই বিশ্বকাপে কী করেছেন সেটা দিয়ে বিচার করলে চলবে না। সাউদির অভিজ্ঞতাকে মাথায় রাখতে হবে।
কাইল জেমিসন: চোট পেয়ে ম্যাট হেনরি ছিটকে যাওয়ায় দলে নেওয়া হয়েছে জেমিসনকে। সেমিফাইনালে খেলতে দেখা যেতে পারে তাঁকে। বিশ্বকাপে যদিও এখনও কোনও ম্যাচ খেলেননি। তাই সরাসরি তাঁকে সেমিফাইনালে খেলতে নামানো নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। কিন্তু বিরাট কোহলিদের বিরুদ্ধে অতীতে জেমিসনের বোলিং মাথায় রাখলে জেমিসনকে খেলাতেই পারে নিউ জ়িল্যান্ড।