উচ্ছ্বাস নিউ জ়িল্যান্ডের মহিলা ক্রিকেটারদের। ছবি: রয়টার্স।
২৯ জুন, ২০২৪। ভারতের বিরুদ্ধে ছেলেদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হেরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০ অক্টোবর, ২০২৪। নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে হার দক্ষিণ আফ্রিকার।
রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার হারের সঙ্গেই ইতিহাস গড়ল নিউ জ়িল্যান্ড। প্রথম বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল তারা। নিউ জ়িল্যান্ডের পুরুষ দল কখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। তারা কখনও এক দিনের বিশ্বকাপও জিততে পারেনি। ২০২১ সালে কেন উইলিয়ামসনের নেতৃত্বে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল তারা। নিউ জ়িল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে রবিবার যোগ হল নতুন পালক।
ছেলেদের মতো মেয়েদের বিশ্বকাপেও দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে বল করেছিল। নিউ জ়িল্যান্ডের মহিলা দল রবিবার প্রথমে ব্যাট করে ১৫৮ রান তোলে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে টানা ১০টি ম্যাচ হেরেছিল তারা। সেই নিউ জ়িল্যান্ড যে ফাইনাল খেলবে সেটাই অনেকে কল্পনা করতে পারেননি। কিন্তু অনিশ্চয়তার ক্রিকেটে কিউইরা শুরুই করেছিল জয় দিয়ে। ভারতের মহিলা দলকে হারিয়ে এ বারের বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন এমিলিয়া কারেরা। শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপও জিতে নিলেন তাঁরা।
নিউ জ়িল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে কার ৪৩ রান করেন। ওপেনার সুজ়ি বেটস করেন ৩২ রান। শেষ দিকে ব্রুকি হ্যালিডে ২৮ বলে ৩৮ রান করে দলকে ১৫০ রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করেন। ম্যাডি গ্রিন ৬ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ট্রফি ছুঁতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৫৯ রান। কিন্তু তারা থেমে গেল ১২৬ রানে। ছেলেদের বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত জিতেছিল ৭ রানে। রবিবার নিউ জ়িল্যান্ড জিতল ৩২ রানে।
১৫৯ রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা খারাপ হয়নি। পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান তোলার লক্ষ্য ছিল দুই ওপেনারেরা। সেটাই করছিলেন তাঁরা। কিছুটা সফলও হয়েছিলেন। অধিনায়ক লরা উল্ভর্থ ২৭ বলে ৩৩ রান করেন। কিন্তু অন্য ওপেনার তাজমিন ব্রিৎজ় ১৮ বলে ১৭ রান করে আউট হতেই ভেঙে পড়ে নিউ জ়িল্যান্ড। একের পর উইকেট হারাতে শুরু করে তারা। সেই সঙ্গে প্রশংসা করতে হবে কিউইদের ফিল্ডিংয়ের। কোনও ক্যাচ ফেলছিলেন না তাঁরা। শেষ দিকে একটি ক্যাচ পড়লেও তত ক্ষণে ম্যাচ তাঁদের পকেটে।
ফাইনালের সেরা কার। ব্যাট হাতে তিনি যেমন ৪৩ রান করলেন, তেমনই বল হাতে নিলেন তিনটি উইকেট। প্রতিযোগিতার সেরাও হলেন তিনি। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন কার। ১৫টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে এত উইকেট কেউ নিতে পারেননি। ব্যাট হাতে করেছেন ১৩৫ রান। গুরুত্বপূর্ণ সময় ম্যাচ জিতিয়েছেন। ফাইনালেও সেরা তিনি।