রশিদ খান। —ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তানের বড় শক্তি তাদের স্পিন আক্রমণ। সেই আক্রমণ ভোঁতা করে দিয়েছেন নিউ জ়িল্যান্ডের ব্যাটারেরা। ১৪৯ রানে জিতেছে কিউইরা। গ্লেন ফিলিপ্স বলেন, ভারত ম্যাচের আগে রশিদ খানদের বিরুদ্ধে খেলে অনুশীলন হয়ে গেল।
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে একটি মাত্র উইকেট নিয়েছেন রশিদ। যদিও তিনি বল করার সময় দু’টি ক্যাচ পড়ে। ফিলিপ্স বলেন, “রশিদের বিরুদ্ধে আগে থেকে পরিকল্পনা করতেই হয়। কোনও কোনও দিন ও এমন খেলে দেবে যে, ওর বিরুদ্ধে ব্যাট করাই যাবে না। আমরা ঠিক করি ওঁকে দেখে খেলব। তাতে অন্য বোলারদএর মারতে পারব। অনেক সময় রশিদকেও আমরা মার খেতে দেখেছি। তবে বেশির ভাগ সময় ব্যাটারেরা ওর বিরুদ্ধে চাপেই থাকে। আমাদের বিরুদ্ধে রশিদ ভাল বল করেছে, কিন্তু আমরা ওর আক্রমণ ভোঁতা করে দিয়েছি।”
ফিলিপ্স ৭১ রান করেন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। তিনি এবং অধিনায়ক টম লাথাম ১৪৪ রানের জুটি গড়েন। ১১০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর তাঁরা দু’জন মিলেই নিউ জ়িল্যান্ডকে বড় স্কোরে পৌঁছে দেন। বিশ্বকাপে ফিলিপ্সের এটাই প্রথম অর্ধশতরান। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম কী করতে হবে। ভাল লাগছে ব্যাট হাতে দলের কাজে লাগতে পেরে। আফগান স্পিনারেরা প্রচণ্ড প্রতিভাবান। আমরা প্রতি ওভার ধরে খেলার চেষ্টা করেছি। জানতাম যে, যত শেষের দিকে যাবে, তত বেশি রান করার সুযোগ পাব।”
নিউ জ়িল্যান্ডের পরের ম্যাচ ভারতের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচের আগে আফগান স্পিনারদের বিরুদ্ধে খেলে অনুশীলন সেরে নিলেন ফিলিপ্সেরা। অলরাউন্ডার মার্ক চ্যাপমান রবিবার মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছেন। তিনি বলেন, “ধর্মশালায় খেলতে চাই। কী অসাধারণ মাঠ। ২০১৬ সালে ওই মাঠে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলাম হংকংয়ের বিরুদ্ধে।” আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে চ্যাপমান ১২ বলে ২৫ রান করেন। তিনি বলেন, “নিউ জ়িল্যান্ডের হয়ে আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বেশি খেলেছি। সেই কারণে এক দিনের ক্রিকেটে ফিনিশার হিসাবে খেলতে সুবিধা হয়। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলতে চাই।”