চোট পেলেন হার্দিক পাণ্ড্য। ছবি: রয়টার্স।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চোট পেলেন হার্দিক পাণ্ড্য। পুরো ওভার বল না করেই মাঠ ছাড়তে হল তাঁকে। হার্দিকের ওভার শেষ করেন বিরাট কোহলি। পুণের মাঠে খোঁড়াতে খোঁড়াতে মাঠ ছাড়তে দেখা গেল হার্দিককে। ২০১৮ সালে খেলতে গিয়েই চোট পেয়েছিলেন তিনি। আরও এক বার সেই ঘটনা ঘটল। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, হার্দিককে স্ক্যান করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
নবম ওভারে বল করার সময় চোট পেলেন হার্দিক। তাঁর বলে স্ট্রেট ড্রাইভ মারেন লিটন দাস। সেই বল পা দিয়ে আটকাতে গিয়েছিলেন হার্দিক। সেই সময় পড়ে যান তিনি। হার্দিকের পায়ের উপর তাঁর পুরো শরীরের ওজন পড়ে গিয়েছিল। তাতেই চোট লাগে ভারতীয় অলরাউন্ডারের। এই ম্যাচে আর বল করতে পারবেন না তিনি। সেই সময় ওভারের তিনটি বল বাকি ছিল। বিরাট ওই তিনটি বল করেন।
২০১৮ সালে এশিয়া কাপ খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক। সে বার পিঠে চোট পেয়েছিলেন তিনি। সেই চোট সারিয়ে মাঠে ফিরতে বেশ কিছু বছর লেগেছিল হার্দিকের। আইপিএলে গত বছর ফিরেছিলেন তিনি। তখন থেকেই ব্যাটিং এবং বোলিং দু'টি সমান ভাবে করছিলেন। এ বার পায়ে চোট পেয়েছেন হার্দিক। পা মচকে গিয়েছে তাঁর।
হার্দিক বল করতে না পারলেও ভারতীয় দলে পাঁচ জন বোলার রয়েছেন। তাই ৫০ ওভার করতে অসুবিধা হবে না। যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব এবং রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে রয়েছেন শার্দূল ঠাকুর। তাঁরা সকলে মিলে হার্দিকের অভাব ঢেকে দিতে চাইবেন। কিন্তু হার্দিক ব্যাট করতে না পারলে সমস্যায় পড়বে ভারত। সে ক্ষেত্রে ১০ জনে খেলতে হবে তাদের। সেটা সমস্যা হতে পারে ভারতের জন্য। যে হেতু হার্দিক ফিল্ডিং করতে পারছেন না, তাই ব্যাট করতে নামলেও ভারতের ইনিংসের ৫ উইকেট পড়লে অথবা দু'ঘণ্টা পর ব্যাট করতে নামতে পারবেন তিনি।