নেপালের উইকেটরক্ষক আসিফকে ‘স্পিরিট অফ ক্রিকেট’ পুরস্কার দিল আইসিসি। ফাইল ছবি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের বিশেষ পুরস্কার পেলেন নেপালের জাতীয় দলের উইকেটরক্ষক আসিফ শেখ। প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়ের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখানোর জন্য তাঁকে দেওয়া হল ‘স্পিরিট অফ ক্রিকেট’ পুরস্কার।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ওমানে একটি চতুর্দেশীয় টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা খেলতে গিয়েছিল নেপাল। ১৪ ফেব্রুয়ারি নেপালের খেলা ছিল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে আইরিশ ব্যাটার অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইন দৌড়ে রান নিতে গেলে বোলার কমল সিংহের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তিনি মাটিতে পড়ে যান। দৌড়ে গিয়ে কমল নিজেই ফিল্ডিং করেন। তাঁর হাত থেকে আসিফ যখন বল পান, তখন ম্যাকব্রেইন ক্রিজ থেকে বেশ কিছুটা দূরে। রান আউট করার সহজ সুযোগ পেলেও বল উইকেটে মারেননি আসিফ। প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে রান সম্পূর্ণ করতে দিয়েছিলেন। আউট না করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান ম্যাকব্রেইন। আসিফের খেলোয়াড়ি মানসিকতার প্রশংসা করেন অ্যায়ারল্যান্ডের বাকি ক্রিকেটার এবং তাঁর সতীর্থরাও।।
পেশাদার ক্রিকেটে আউট করার সুযোগ পেলে ছাড়ে না কোনও দলই। মাঁকড়ীয় আউট নিয়েও গত কয়েক মাস ধরে নানা বিতর্ক চলছে। ক্রিকেটে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে, তখন সহজ সুযোগ পেয়েও আউট না করে আইসিসিরও নজর কেড়ে নিয়েছিলেন নেপালের উইকেটরক্ষক। তাঁর সেই খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতাকে স্বীকৃতি দিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। ক্রিকেট বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির ক্রিকেটারদের মধ্যেও এমন মানসিকতা খুব বেশি দেখা যায় না।
আইসিসির তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘ক্রিকেট এমন একটি খেলা যার নিয়মের বাইরেও অনন্য আবেদন রয়েছে। খেলার নিয়মের বাইরে অনেক সময় খেলোয়াড়রা নিজেদের বিবেকের দ্বারা চালিত হন। যা ক্রিকেটের স্পিরিট আরও বাড়িয়ে তোলে। এমন কিছু ঘটনাও ঘটে যেগুলি ক্রিকেটের স্পিরিট নষ্ট করে। সেই ঘটনাগুলি আসলে ক্রিকেটের ক্ষতিই করে।’’
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আসিফ ম্যাকব্রেইনকে রান আউট করলে নেপাল জিততেও পারত। কারণ আয়ারল্যান্ডের ১২৭ রানের জবাবে নেপাল ৯ উইকেটে ১১১ রান করেছিল। ম্যাকব্রেইন করেছিলেন ১১ রান।