সন্দীপ লামিছানে। —ফাইল চিত্র
শেষরক্ষা হল না সন্দীপ লামিছানের। নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে নেপালের প্রাক্তন অধিনায়ককে ৮ বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে সে দেশের আদালত। দীর্ঘ দিন ধরে চলছিল মামলা। মাঝে জামিন পেয়ে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন লামিছানে। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বর মাসে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সেই মামলায় এ বার রায় দিল আদালত। আইপিএলে খেলারও অভিজ্ঞতা রয়েছে লামিছানের। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলেছেন তিনি।
বুধবার নেপালের একটি আদালতের বিচারক শিশির রাজ ধাকাল এই নির্দেশ দিয়েছেন। জেলের সাজার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে লামিছানেকে। তবে জরিমানার টাকা জানা যায়নি।
গত বছর ১২ জানুয়ারি নেপালের পটন হাইকোর্ট লামিছানেকে জামিনে মুক্তি দিয়েছিল। লামিছানের দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের ভিত্তিতে বিচারপতি ধ্রুবরাজ নন্দ এবং বিচারপতি রমেশ দাহাল নির্দেশ দেন, নেপালের মুদ্রায় ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে জামিন দিতে হবে লামিছানেকে। তিনি সেই টাকা দিয়ে দেওয়ায় জামিনে জেলের বাইরে আসেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২১ অগস্ট কাঠমান্ডু ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস লামিছানের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে। এর পর ৬ সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটান পুলিশের কাছে লামিছানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ওই নাবালিকা। তার এক মাস পর ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো থেকে ফেরার পর বিমানবন্দরেই গ্রেফতার করা হয় লামিছানেকে। লামিছানেকে নিলম্বিত করে নেপাল ক্রিকেট সংস্থা।
গ্রেফতার হওয়ার আগেই লামিছানে জানিয়েছিলেন, তিনি পুলিশের সঙ্গে সমস্ত সহযোগিতা করতে রাজি। আইনি পথেই বিষয়টি দেখে নিতে চান। তিনি চক্রান্তের শিকার বলেও দাবি করেছিলেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর নেপাল ক্রিকেট দলের হয়ে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বকাপ লিগ ২-তে ত্রিদেশীয় সিরিজ় খেলেন। বিপক্ষ দল নামিবিয়া এবং স্কটল্যান্ডের কোনও ক্রিকেটার লামিছানের সঙ্গে হাত মেলাননি। তাঁকে পরের একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ় থেকে বাদ দেয় নেপাল। কিন্তু সতীর্থ চোট পাওয়ায় তাঁকে নেওয়া হয়। এর পরে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচ খেলেন লামিছানে। শেষ বার দেশের হয়ে নেমেছেন অগস্টে। কেনিয়ার বিরুদ্ধে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন।