ইংরেজ সাংবাদিকের একের পর এক প্রশ্নের জবাবে মজার উত্তর দিলেন নাসিম। ছবি: টুইটার।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ের আগে পাকিস্তান দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করতে এসেছিলেন তরুণ জোরে বোলার নাসিম শাহ। সাংবাদিকরা মূলত তাঁকে হিন্দিতেই প্রশ্ন করছিলেন। এক ইংরেজ সাংবাদিক তাঁকে পর পর ইংরেজিতে প্রশ্ন করতেই মজার উত্তর দিলেন নাসিম।
পাকিস্তানের তরুণ বোলারকে ওই ইংরেজ সাংবাদিক বলেন, ‘‘আপনার মতো গতি হয়তো জেমস অ্যান্ডারসনের নেই। কিন্তু ওঁর অন্য দক্ষতা রয়েছে। কী বলবেন?’’ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নাসিম বলেছেন, ‘‘ব্রাদার, আমার ইংরেজি মাত্র ৩০ শতাংশ। সেটাও শেষ হয়ে গিয়েছে।’’ নাসিমের মজার উত্তর শুনে সকলেই হেসে ফেলেন। পাক জোরে বোলারকেও হাসতে দেখা যায়। নাসিম ইংল্যান্ডের ওই সাংবাদিককে বোঝাতে চেয়েছিলেন, তাঁর পক্ষে ইংরেজিতে বেশি উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এই ভাষায় তাঁর দখল কম।
এর আগে ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘অ্যান্ডারসনের বয়স এখন ৪০ বছর। আপনি এক জন জোরে বোলার হিসাবে ওঁর সম্পর্কে কী বলবেন?’’ জবাবে ইংরাজিতেই নাসিম বলেন, ‘‘এই বয়সেও খেলে যাওয়া কৃতিত্বের ব্যাপার। এক জন জোরে বোলার হিসাবে জানি, কাজটা কত কঠিন। অ্যান্ডারসন এক জন কিংবদন্তি। প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। ওঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। দেখা হলে অবশ্যই কিছু পরামর্শ চাইব। ৪০ বছর বয়সেও দারুণ ফিট এবং সমান তালে খেলে চলেছেন। কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এটা সম্ভব নয়।’’
এর পর আর ইংরেজিতে উত্তর দিতে চাননি পাকিস্তানের তরুণ জোরে বোলার। ইংরাজিতে কথা বলতে ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ ক্রিকেটারই স্বচ্ছন্দ নন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজীবনের শুরুতে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা বা আগানিস্তানের অনেক ক্রিকেটারই সমস্যায় পড়েন। এর মধ্যে লজ্জার কিছু আছে বলে মনে করেন না অনেকেই। কারণ ভারতীয় উপমহাদেশে ইংরাজির ব্যাপক প্রচলন থাকলেও এই ভাষা মাতৃভাষা নয়। ক্রীড়াবিদদের অধিকাংশই খেলার জন্য পড়াশোনাকে বেশি গুরুত্ব দিতে পারেন না। তাই বিদেশি ভাষায় কথা বলার ক্ষেত্রে তাঁরা স্বাভাবিক ভাবেই স্বচ্ছন্দ হন না। পাকিস্তানের নাসিমও তার ব্যতিক্রম নন। তাই সরাসরিই ইংরেজ সাংবাদিককে তিনি বলে দিয়েছেন, ইংরেজিতে বেশি উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।
পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের তিন টেস্টের সিরিজ় শুরু হবে ১ জিসেম্বর থেকে। রাওয়ালপিন্ডির ২২ গজে প্রথম টেস্টে বাবর আজ়মদের মুখোমুখি হবেন বেন স্টোকসরা।