সুজন প্রশ্ন তুলছেন ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে। তিনি বললেন, “ওরা খেলতে এসেছিল নাকি মজা করতে? বিপক্ষে একটা প্লেটের দল, তাদের বিরুদ্ধে যদি চ্যালেঞ্জিং ক্রিকেট না খেল তা হলে কার সঙ্গে খেলবে। নাগাল্যান্ড খারাপ খেললেও অনেক ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে নেমেছিল বলে আমার মনে হয়েছে।”
ইডেনে ঝাড়খণ্ড বনাম নাগাল্যান্ডের ম্যাচ। ছবি: পিটিআই
বিশ্ব ক্রিকেটে কোনও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০০৮ রানের লিড দেখা যায়নি। সেই ইতিহাস যে পিচে ঘটল সেটা কি সত্যিই এত রানের পিচ ছিল? সদ্য রাওয়ালপিণ্ডিতে পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়া টেস্টে উঠেছিল ১১৮৭ রান। সেই পিচ নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলেন অনেকে। ইডেনে রঞ্জি ট্রফির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে দুই দল তুলল ১৫৮৬ রান।
ইডেনের পিচ প্রস্তুতকারক সুজন মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘ দিন ধরে ইডেনের পিচ তৈরি হচ্ছে তাঁর হাতে। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “কোনও দল খেলতে না পারলে কী করে হবে। নাগাল্যান্ড প্রচুর ক্যাচ ফেলেছে, স্টাম্প ফস্কেছে। রান তো উঠবেই।”
ঝাড়খণ্ড এবং নাগাল্যান্ড দলের মধ্যে ক্রিকেটীয় দক্ষতার তফাৎটাও চোখে পড়েছে বলে মনে করছেন সৌরাশিস লাহিড়ী। বাংলার সহকারী কোচ বললেন, “সকালের দিকে পিচে মুভমেন্ট ছিল। বোলাররা কাজে লাগাতে পারেনি। একটা এলিট গ্রুপের দলের সঙ্গে প্লেট গ্রুপের খেলা হলে এমন হতেই পারে। পিচের কোনও দোষ নেই।” সুজন বললেন, “ক্রিকেটীয় দক্ষতা ভাল, এমন দু’টি দলের মধ্যে খেলা হলে এই পিচে ৪০০ রান উঠত। ব্যাটিং সহায়ক পিচ ছিল। স্পিন বা পেসারদের জন্য পিচ বানালে নাগাল্যান্ড আরও আগে আউট হয়ে যেতে পারত। দুটো দল ভাল করে বলই করতে পারেনি।”
সুজন প্রশ্ন তুলছেন ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটীয় স্পিরিট নিয়ে। তিনি বললেন, “ওরা খেলতে এসেছিল নাকি মজা করতে? বিপক্ষে একটা প্লেটের দল, তাদের বিরুদ্ধে যদি চ্যালেঞ্জিং ক্রিকেট না খেল তা হলে কার সঙ্গে খেলবে। নাগাল্যান্ড খারাপ খেললেও অনেক ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলতে নেমেছিল বলে আমার মনে হয়েছে।”
প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার জন্য কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল ঝাড়খণ্ড। এলিট গ্রুপ থেকে আগে সাতটি দল পৌঁছে গিয়েছিল। তাদের সঙ্গে যোগ দিল ঝাড়খণ্ড। বাংলা, মুম্বই, কর্ণাটক, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং ঝাড়খণ্ড, এই দলগুলি খেলবে রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালে। আইপিএলের পর খেলা হবে রঞ্জির নক আউট পর্ব।