অজিঙ্ক রাহানে। —ফাইল চিত্র।
শেষ বার ২০১৫-১৬ মরসুমে রঞ্জি জিতেছিল মুম্বই। তার পরে ট্রফি অধরা ছিল। মাঝে দু’বার ফাইনালে উঠে হারতে হয়েছিল। অবশেষে ৮ বছর পরে আবার ভারতসেরা হল তারা। ফাইনালে বিদর্ভকে ১৬৯ রানে হারালেন অজিঙ্ক রাহানেরা। ৪২তম ট্রফি ঢুকল তাঁদের সাজঘরে, যা রঞ্জির ইতিহাসে সব থেকে বেশি।
ফাইনালে দু’দলের প্রথম ইনিংসের পরেই খেলার ভাগ্য অনেকটা ঠিক হয়ে গিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে ২২৪ রান করে মুম্বই। টপ অর্ডারে পৃথ্বী শ ৪৬ রান করলেও মিডল অর্ডার ব্যর্থ হয়। দলকে টানেন শার্দূল ঠাকুর। ৬৯ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। সেই ইনিংসই মুম্বইয়ের রান ২০০ পার করে।
ওয়াংখেড়েতে বিদর্ভের ব্যাটারেরা প্রথম ইনিংসে দাঁড়াতেই পারেননি। সর্বাধিক রান যশ রাঠৌরের। দলের মাত্র চার জন ক্রিকেটার দু’অঙ্কে যেতে পারেন। মুম্বইয়ের বোলারদের দাপটে ১০৫ রানে শেষ হয়ে যায় বিদর্ভের প্রথম ইনিংস। ধবল কুলকর্ণি, শামস মুলানি ও তনুশ কোটিয়ান ৩টি করে উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসে ১১৯ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ রান করে মুম্বই। মুশির খান ১৩৬ রান করেন। শ্রেয়স আয়ারের ব্যাট থেকে আসে ৯৫ রান। অধিনায়ক রাহানে করেন ৭৩ রান। শেষ দিকে মুলানি ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। বিদর্ভের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ৫৩৮ রান।
হাল ছাড়েনি বিদর্ভ। লড়াই করে তারা। বিদর্ভের আশা বাড়ান করুণ নায়ার, অধিনায়ক অক্ষয় ওয়াদকর ও হর্ষ দুবে। করুণ ৭৪ রান করেন। অক্ষয় করেন শতরান। ১০২ রান করে আউট হন তিনি। ৬৫ রান করে হর্ষ আউট হওয়ার পরে আর বিদর্ভের কোনও ব্যাটার দাঁড়াতে পারেননি। তাদের শেষ ৪ উইকেট পড়ে যায় মাত্র ১৩ রানে। মুম্বইয়ের বোলারদের মধ্যে কোটিয়ান ৪টি উইকেট নেন। ১৬৯ রানে জিতে মাঠ ছাড়ে মুম্বই।