কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লের সঙ্গে অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।
ইডেনে বাংলার বিরুদ্ধে প্রথম দিনে ৩৩০ রান তুলল মুম্বই। রঞ্জির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি মুম্বই এবং বাংলা। প্রথম দিনে বাংলা ৬ উইকেট তুললেও বিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করতে পারল না। তার দায় অনেকটাই নিতে হবে ঈশান পোড়েলকে।
দিনের শুরু থেকেই রান দিচ্ছিলেন ঈশান। গত ম্যাচে তাঁকে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দলে ফিরে খুব একটা নজর কাড়তে পারলেন না ঈশান। সারা দিনে ১৭ ওভার বল করলেন। দিলেন ৭৪ রান। একটি উইকেট নিলেও সহজ ক্যাচ ফেললেন মিড অনে। দ্রুত উন্নতি না করলে আগামী ম্যাচে আকাশ দীপ ফিরলে আবার হয়তো বাদ পড়বেন ঈশান। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল, অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিদের চিন্তার কারণ হয়ে উঠছেন চন্দননগরের পেসার।
বাংলার বাকি বোলারদের মধ্যে মার খেলেন করণ লালও। বাংলার স্পিনার ৪ ওভারে দেন ৩৫ রান। মনোজ নিজে ২ ওভার বল করতে এসে ১৭ রান দেন। মুম্বইয়ের ব্যাটারেরা একটা সময় আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। যা চাপে ফেলে দেয় বাংলাকে। দিনের সেরা বোলার সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল। তিনি ২৬ ওভারে ৯৫ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। মুম্বইকে চাপে ফেলেছিলেন সূরজই। কিন্তু বাংলা সেটার সুবিধা নিতে পারল না। একটি করে উইকেট নেন ঈশান, অঙ্কিত মিশ্র এবং মহম্মদ কাইফ।
মুম্বইয়ের হয়ে এই ম্যাচে অজিঙ্ক রাহানে খেলেননি। নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন শিবম দুবে। মুম্বই এক সময় ৮৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে শিবম এবং সূর্যাংশ শেদগে মিলে ১৪৪ রানের জুটি গড়েন। সেটাই প্রথমে চাপে ফেলে দেয় বাংলাকে। ৭৩ বলে ৭২ রানের ঝোড়ো ইনিংসে বাংলার বোলারদের ঘুম উড়িয়ে দিতে বসেছিলেন শিবম। সূর্যাংশ ৭৬ বলে ৭১ রান করেন। তাঁরা দু’জনেই পর পর আউট হয়ে যাওয়ায় কিছুটা সুবিধা হয় বাংলার। মনে করা হয়েছিল তৃতীয় সেশনে হয়তো মুম্বইয়ের উপর চেপে বসবেন মনোজেরা। কিন্তু সেটা হল না।
সপ্তম উইকেটের জুটিতে তানুশ কোটিয়ান এবং অথর্ব বিনোদ আঙ্কোলেকর ৯৯ রানের জুটি গড়েন। তানুশ অপরাজিত ৫৫ রানে। অথর্ব ক্রিজ়ে রয়েছেন ৪১ রানে। শনিবার সকালে দ্রুত এই দুই ব্যাটারকে না ফেরালে মুশকিলে পড়বে বাংলা।
শুক্রবার টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মনোজ তিওয়ারি। টসের সময় দেখা যায় রাহানে নেই। রঞ্জির নক আউটে ওঠার জন্য এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ দুই দলের কাছেই। সেই ম্যাচের প্রথম সেশন শুরু হয় এক ঘণ্টা দেরিতে। সকালে আলো কম থাকার জন্য ম্যাচ শুরু করতে দেরি হয়। মুম্বইয়ের দুই ওপেনার পৃথ্বী এবং ভুপেন লালওয়ানি শুরুটা ভাল করেছিলেন। বাংলার বোলারেরা উইকেট নিতে পারছিলেন না। চোট সারিয়ে ছ’মাস পর দলে ফেরা পৃথ্বী বেশ সাবলীল দেখাচ্ছিল। কিন্তু ৩৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।