আরসিবির উইকেট পড়ার পরে মুম্বইয়ের ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: পিটিআই।
হরমনপ্রীত কৌরকে ছাড়াই ম্যাচ জিতল মুম্বই। স্মৃতি মন্ধানার আরসিবিকে হারাল তারা। এই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গেল মুম্বই। ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই দাপট দেখাল মুম্বই। দিনটা ভাল গেল না আরসিবির। ২৯ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতল মুম্বই।
হরমন না থাকায় মুম্বইয়ের অধিনায়কত্ব করেন ন্যাট শিভার-ব্রান্ট। টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মুম্বইয়ের বোলারদের সামনে শুরুটা ভাল করতে পারেনি আরসিবি। আরও এক বার ব্যাট হাতে ব্যর্থ মন্ধানা। ৯ রানে আউট হন তিনি। রান পাননি সোফি ডিভাইনও।
আরসিবির ইনিংস সামলান এলিস পেরি। কিন্তু একা হয়ে পড়েন তিনি। রিচা ঘোষ রান না পাওয়ায় সমস্যায় পড়ে আরসিবি। শেষ দিকে জর্জিয়া ওয়্যারহ্যাম ২৭ রান না করলে আরও সমস্যা হত দলের। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করে আরসিবি। ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন পেরি। মুম্বইয়ের বোলারদের মধ্যে শিভার-ব্রান্ট ও পূজা বস্ত্রকর ২টি এবং ইসি ওং ও সাইকা ইশাক ১টি করে উইকেট পান।
জবাবে রান তাড়া করার শুরুটা খুব ভাল করেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার যস্তিকা ভাটিয়া ও হেইলি ম্যাথুজ়। দ্রুত রান করছিলেন তাঁরা। পাওয়ার প্লে ভাল কাজে লাগান যস্তিকা। মুম্বইকে প্রথম ধাক্কা দেন ডিভাইন। উইকেটের পিছনে ভাল ক্যাচ ধরেন রিচা। ১৫ বলে ৩১ রান করে ফেরেন যস্তিকা। ম্যাথুজ় করেন ২৬ রান।
দুই ওপেনার যা শুরু করেছিলেন তা শেষ করেন শিভার-ব্রান্ট ও অ্যামেলিয়া কার। বলের পরে ব্যাট হাতেও অধিনায়কের ভূমিকা পালন করলেন শিভার-ব্রান্ট। বেশি আক্রমণাত্মক দেখাল কারকে। তাড়াতাড়ি খেলা শেষ করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। ২৭ রানে আউট হন শিভার-ব্রান্ট। তাতে অবশ্য মুম্বইয়ের জিততে সমস্যা হয়নি। ১৫.১ ওভারে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় মুম্বই। ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন কার।