আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। একসঙ্গে বসে খেলা দেখতে পারেন ১ লক্ষ ৩০ হাজার দর্শক। —ফাইল চিত্র।
চতুর্থ ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি হতে চলেছে মুম্বইয়ে। ওয়াংখেড়ে, ব্রেবোর্ন ও ডি ওয়াই পাতিলের পরে আরও একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা করেছে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। ঠাণে জেলায় হবে এই স্টেডিয়াম। তাতে ১ লক্ষ দর্শক বসতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে আমদাবাদের ১ লক্ষ ৩০ হাজার আসনের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামের সঙ্গে পাল্লা দিতে চাইছে মুম্বই।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরে তৈরি হবে এই স্টেডিয়াম। ইতিমধ্যেই ৫০ একর জমি চিহ্নিত করে ফেলেছে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা। সেই জমি অধিগ্রহণ করার জন্য দরপত্র দিয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্য সড়ক উন্নয়ন সংস্থা। মহারাষ্ট্র সরকার অনুমতি দিলেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে তারা।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলকে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেই দিন মুম্বইবাসীর উৎসাহ দেখে শিবসেনা প্রধান আদিত্য ঠাকরে বলেছিলেন, এ বার থেকে সব বিশ্বকাপের ফাইনাল মুম্বইয়ে হোক। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্ল। তিনি আমদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ১ লক্ষ ৩০ হাজার লোক ধরার তথ্য তুলে ধরেছিলেন।
গত মাসে মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি অমোল কালে প্রয়াত হয়েছেন। এই স্টেডিয়াম তাঁর স্বপ্ন ছিল। তাই ক্রিকেট সংস্থা তা পূরণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় মুম্বইয়ের ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সেই সময় মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস জানিয়েছিলেন, মুম্বইয়ে একটি বড় স্টেডিয়াম দরকার। তিনি এই স্টেডিয়ামের কথাই বলেছিলেন বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
মুম্বইয়ে এখন যে তিনটি স্টেডিয়াম রয়েছে তার মধ্যে কোথাও ৫০ হাজার দর্শকও বসতে পারেন না। ওয়াংখেড়েতে ৩৩ হাজার, ব্রেবোর্নে ২০ হাজার ও ডি ওয়াই পাতিলে ৪৫ হাজার দর্শক ধরে। এই নতুন স্টেডিয়ামে ১ লক্ষ দর্শক ধরবে বলে জানা গিয়েছে। এখন ভারতের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। সেখানে ১ লক্ষ ৩০ হাজার দর্শক খেলা দেখতে পারেন। মুম্বইয়ের এই স্টেডিয়াম তৈরি হলে সেটি হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্টেডিয়াম।