সিদ্ধার্থের কোচ জ্বলা সিংহ। তিনি বলেন, “এক দিন ও এসে আমাকে বলে যে টানা ৫২ ঘণ্টা ব্যাট করার যে রেকর্ড রয়েছে তা ভেঙে দিতে চায় সে। আমি আগে কখনও এই ধরনের রেকর্ডের কথা শুনিনি।” সিদ্ধার্থের এমন আবেদন শুরুতে গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি জ্বলা। কিন্তু সিদ্ধার্থ এক সপ্তাহ পর ফের সেই আবেদন জানায়। তখন জ্বলা তাঁর কোচিং নেটে সিদ্ধার্থকে এই রেকর্ড ভাঙার জন্য সব রকম সাহায্য করতে রাজি হন।
ছবি: টুইটার থেকে
এখনও ব্যাট করছেন সিদ্ধার্থ মোহিতে! শুক্রবার রাত থেকে ব্যাট করা শুরু করেছেন তিনি। ৫০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ব্যাট করছেন মুম্বইয়ের এই ব্যাটার। ১৯ বছরের সিদ্ধার্থের লক্ষ্য ৭২ ঘণ্টা ব্যাট করা। গিনেস বুকে নাম তুলতে চান তিনি।
২০১৫ সালে পুণের বিরাগ মারে ৫০ ঘণ্টা ৪ মিনিট ৫১ সেকেন্ড ব্যাট করেছিলেন। সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন সিদ্ধার্থ। মারে বোলার এবং বোলিং মেশিন দুই ধরনের বোলিংয়ের বিরুদ্ধেই খেলেছিলেন। সিদ্ধার্থ শুধু বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট করছেন। তিনি যা করছেন তা সাধারণত সব ক্রিকেটার করতে চান না। টানা ৭২ ঘণ্টা ব্যাট করার ভাবনা নিয়ে নেটে ঢুকেছেন।
সিদ্ধার্থের কোচ জ্বলা সিংহ। তিনি বলেন, “এক দিন ও এসে আমাকে বলে যে টানা ৫২ ঘণ্টা ব্যাট করার যে রেকর্ড রয়েছে তা ভেঙে দিতে চায় সে। আমি আগে কখনও এই ধরনের রেকর্ডের কথা শুনিনি।” সিদ্ধার্থের এমন আবেদন শুরুতে গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি জ্বলা। কিন্তু সিদ্ধার্থ এক সপ্তাহ পর ফের সেই আবেদন জানায়। তখন জ্বলা তাঁর কোচিং নেটে সিদ্ধার্থকে এই রেকর্ড ভাঙার জন্য সব রকম সাহায্য করতে রাজি হন।
সিদ্ধার্থ তাঁর বন্ধু, ভাইবোনদের সাহায্য নেন গিনেস বুকে নাম দেওয়ার নিয়ম নিয়ে। সেই নিয়ম মেনে এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন সিদ্ধার্থ। মোহিতের খুড়তুতো ভাই বৈভব পাওয়ার তিন দিনের জন্য সাক্ষী জোগাড় করেন, যাঁরা লক্ষ্য রাখবে সিদ্ধার্থ সব নিয়ম মানছেন কি না। সেই সাক্ষীরা এক এক জন চার ঘণ্টা করে সিদ্ধার্থের উপর নজর রাখছেন। এক জন পুরো ঘটনাটা ভিডিয়ো করছেন।
সিদ্ধার্থ তাঁর বন্ধুদের মুম্বইয়ের থানেতে ডেকে নিয়েছেন তাঁকে বল করার জন্য। সিদ্ধার্থের মা সেজল বলেন, “ও কোনও একটা রেকর্ড গড়তে চায়। আলাদা কিছু করার ভাবনা রয়েছে ওর। কিন্তু কী করতে চায় সেটা জানি না। লকডাউনের সময় ও এটা নিয়ে অনেক অনুশীলন করেছে। ব্যাট করা সহজ নয়, তাও আবার এত ঘণ্টা ধরে। ওর বন্ধুরা ওকে সাহায্য করেছে। আমি ক্রিকেট বুঝি না, কিন্তু আমার ছেলের পাশে আছি।”
প্রতি ঘণ্টায় পাঁচ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিতে পারবেন সিদ্ধার্থ। প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন হলে সেই বিরতিও নিতে পারবেন তিনি। অনুশীলন নেটের পাশে কিছু বিছানাও রাখা হয়েছে। সিদ্ধার্থ শুধু প্রোটিন জাতীয় খাবার এবং পানীয় খাচ্ছেন। সিদ্ধার্থের কোচ ভাবতে পারেননি যে মারের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারবেন তাঁর ছাত্র। সেই রেকর্ড ভাঙতে গিয়ে তিনটি ব্যাট ভেঙেছেন সিদ্ধার্থ। তাঁর কনিষ্ঠ আঙুলে চোট পেয়েছেন তিনি। মারের রেকর্ড ভাঙার পর আধ ঘণ্টার বিরতি নিয়েছেন সিদ্ধার্থ। সেই বিরতির সময় সিদ্ধার্থ বলেন, “হঠাৎ করেই আমার মাথায় এই ভাবনা আসে। অনেকেই বলেছিল সম্ভব হবে না কিন্তু আমি সেই রেকর্ড গড়তে পেরে খুশি।”