শ্রেয়স আয়ার। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ে টনক নড়েছে ‘অবাধ্য’ শ্রেয়স আয়ারের। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক আইপিএলের প্রস্তুতি ছেড়ে রঞ্জি ট্রফি খেলতে গিয়েছেন। মুম্বইয়ের হয়েও রান পেলেন না তিনি।
ফর্মে না থাকায় বাদ পড়েছেন ভারতীয় দল থেকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম দু’টেস্টের চার ইনিংসে শ্রেয়স করেছিলেন ৩৫, ১৩, ২৭ এবং ২৯ রান। তাঁর ব্যর্থতায় চাপে পড়ছিল ভারতীয় দল। তৃতীয় টেস্টের দল থেকে শ্রেয়সকে বাদ দিয়েছিলেন জাতীয় নির্বাচকেরা। তাঁকে রঞ্জি খেলতে বলা হয়। কিন্তু চোট রয়েছে দাবি করে মুম্বইয়ের হয়ে খেলেননি তিনি। অথচ যোগ দিয়েছিলেন কেকেআরের প্রস্তুতি শিবিরে। তার মধ্যেই বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন শ্রেয়সের কোনও চোট নেই। এই অবাধ্যতার মূল্য চোকাতে হয়েছে মিডল অর্ডার ব্যাটারকে। বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন।
এর পর টনক নড়ে শ্রেয়সের। জানান মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল খেলবেন। কিন্তু ঘরের মাঠে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সেমিফাইনালেও রান পেলেন না শ্রেয়স। প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এল ৩ রান। তাঁর আট বলের ইনিংস শেষ হয় সন্দীপ ওয়ারিয়রের বলে বোল্ড হয়ে। অজিঙ্ক রাহানের দলের হয়ে ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন শ্রেয়স।
আগেও বোর্ডের ‘অবাধ্য’ হয়েছিলেন শ্রেয়স। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে ফেরার পরেও রঞ্জি ট্রফি খেলেননি। বোর্ডের ‘ধমক’ খাওয়ার পর ইংল্যান্ড সিরিজ়ের আগে খেলেছিলেন শুধু অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ৪৮ রান করেন তিনি।
গত এক দিনের বিশ্বকাপে প্রায় প্রতি ম্যাচেই ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দিয়েছিলেন শ্রেয়স। বিশ্বকাপের ১১টি ম্যাচে ৬৬.২৫ গড়ে ৫৩০ রান করেছিলেন। দু’টি শতরানও এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। তার পর থেকে একের পর এক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে শ্রেয়সের বিরুদ্ধে।